Category

সকল কবিতা

কবি তন্ময় সাহা এর সমগ্র লিখনি পেতে আমরা আছি আপনার সাথে। কবি তন্ময় সাহা রচনা সমগ্র দেখুন এবং পড়ুন।

কেবল তিঁনিই আছেন

আপাত অনন্ত সময়ের অজানা সড়কে সময়ের ছুটে চলা ছবি দেখে, মূলতঃ একই ছোটগল্প চোখে ভাসে। আমরা তাকেই কবিতা করে হৃদয়ে রাখি। আমাদের চোখ খোলা, মুখ বন্ধ নয়; আমরা হৃদয়ের কথা বলতে এসেছি। বিবেক মরেনি, আমাদের হৃদয় পবিত্র, আমাদের ভাষা তাই শালীন, স্পষ্ট এবং উচ্চারণও তা-ই, দৃঢ়। আমরা ভালোবাসার বদলে, ভালোবাসাই চাইতে এসেছি। তিনি জানতে চাইলেন, কারা কারা আছেন আমাদের? আমরা…

এইক্ষণে সন্ন্যাসী হবো

তবে এসো, বিস্তৃত ভূসর্গে বসে ঋষি আদিষ্ট ধ্যানে করি আত্মানুসন্ধান কিছুক্ষণ। প্রাণ রূপ পুরুষের অধ্যাপনায়, মনীষী সাহচর্যে, চোখের সামনে, দেখি যদি ভেসে ওঠে পূর্বাপর! ওই যে দেখো কৃষ্ণকায় শান্ত পরিব্রাজক সন্ন্যাসী, চেহারায় যায় না বোঝা বৃদ্ধ কী তরুণ, তার দৃঢ় বিভূতিমাখা রক্তাভ দেহ, সূর্যের তাপে যেন ঝলসে গেছে, সেই ঋষি সন্ন্যাসী ফেরে না গৃহে। বলয়ে তার আত্মতৃপ্তির অনুভব, আমাদের বিষাদ…

পুরনো শকুন

তোমাদের দেয়ালটা একদিন পুরনো হবে, আমিও পুরাতন অতি, পুরনো স্মৃতি, পুরনো নথি, পুরাতন বিবেক, পুরাতন বোধ সব কিছু ফিকে হয় কালে। অতি পুরাতন কোনো দেয়াল তবু তুমি দেখতে তো আসো! পুরনো আমাকে দেখার কেন কেউ নেই? প্রিয় পর্যটক, আমি কেনো তোমাদের পুরনো শকুন। আরও পড়ুন – >>> এইসব ভালোলাগা প্রশান্তির মৃত্যুর মতো

এইসব ভালোলাগা প্রশান্তির মৃত্যুর মতো

জলরাশির অতল বুকে ভাসছি কেবল। লোকালয়ের বাতিগুলো যেন জোনাকি পোকা, ওরা কি ছড়ায় উত্তাপ ? এখন উত্তাপ আর আলোর সাথে সখ্যতা প্রয়োজন। এ আয়োজন শীতের ইলশেগুঁড়ি মাথায় অতলে ভাসার; মাথা রেখে প্রকৃিতর কোলে প্রশান্তির আশ্বাসে। জীবনের আস্বাদ নোনাজলে মিঠে করে নিতে। ক্লান্ত কি কবি ? চোখ আর মন বলছে কি দু’রকম? আপাততঃ বাদাবনের মুগ্ধতায় মগ্ন কবি, রাতের স্নিগ্ধ নিস্তব্ধতা সাথী…

দাগ…

শিকারী ব্যাধ, নিরীহ হরিণ। সুগন্ধি মাংসের ঝোল। বিড়াল অপেক্ষায় আছে। চিতার কামড়, বিলুপ্ত বাইসন, কিছুটা রক্তের দাগ, হায়নাও হাসে। ডাইনোসর, পুরাণ, প্রাগৈতিহাসিক। অপলাপ, প্রলাপ, বিলাপ। সকলেই ইতিহাস ভালোবাসে। আরও পড়ুন – >>> আফ্রোদিতি

আফ্রোদিতি

তোমার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবার অধিকার নগণ্য মানুষেরও আছে। সৌন্দর্যের দেবী বলে তুমি ফিরিয়ে নিয়ো না মুখ, প্রিয় আফ্রোদিতি, আফ্রোদিতি। আরও পড়ুন – >>> জীবন

শেষকৃত্য

সব পায়ে প্রণাম করতে নেই, ছুঁতে নেই যে কোনো হৃদয়, অকাতরে দিতে নেই পাদস্পর্শের অধিকার– ওতে পাপ হয়। দিনমান পদাঘাত শেষে অশ্রুহীন কথিত ফন্তুনদীর মতো চোখে, মরাকান্নায় মেতে, যে কোনো ফুলের মালা দিয়ো না আমার চিত্রপটে। ওতে শ্রদ্ধার শেষকৃত্য আমার, অপবিজ্ঞাপনের ছোঁয়ায় অপবিত্র করা হয়। আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ি দূর্গন্ধে। আরও পড়ুন – >>> রঙ

রঙ

কোনো এক আদিবাসী নারী বলেছিলো, “চা বাগান দেখছিস বাবু? কেমন আকাশের নীচে সবুজ লাচে– একদিন মোর ডেরায় বেড়ায় যাস, তোকে দিখাবো পাহাড়ের খাঁজে বইসে কিমন কইরে বাগান দ্যাখে, বড় বড় গাছ দ্যাখে, আকাশ দ্যাখে। আমার মতো মাটির ঘরে শুয়ে বাগান দেখিস বাবু। পেটের খিদায় উদাস হয়ে যাবি। তুই আর তোর বাগান পলায় যাবে।” প্রত্যুত্তরে আমি আর বলিনি কিছুই। কেবল ভেবেছি,…

উত্তাপ ও মৃত্যুকূপ

(১) নিরুত্তাপ রাতে জলন্ত আগুনের কাছে আমি উত্তাপ কুড়াই; পতঙ্গ হয়ে আসি মরবার আগে। আমাকে পতঙ্গ হতে বাধ্য করো না। অথবা দিনমানে উত্তাপ লোভে ঘুরে আসি বেদুইন হয়ে মরুর মরীচিকায়। সেখানে হীমাঙ্কের নীচে নামা রাতও যে আছে, কেন জানি মনে থাকে না। ভুলে যাই তুমিও আছো পাশাপাশি সত্য হয়ে। মরুঝড়, তাঁবুটা কোথায়? (২) একটি অবাধ সাঁতার দেবো বলে, যোদ্ধার রূপে…

বিষ

বলছি শোনো, বলবোই, বলবো অকপট সত্যের নগরে দাঁড়িয়ে জীবন ও মৃত্যুর ওপারে যেয়েও, বলবোই, “আমরা স্বার্থপর হয়ে গেছি। একলা খেতে চাই, একলা প্রচ্ছদে একলা ব্যানারে, একলা আমোদে, একা সংবর্ধিত হতে চাই।” আমি ধিক্কার দিই। ভাবনাগুলো, বিছুটি পাতার মতো– চুলকায়, মাথা থেকে পা পর্যন্ত জাগে বিরক্তিকর অ্যালার্জি। আমি আন্দোলিত হই তীব্র ঘৃণায়। বলবোই, কিছুসংখ্যক পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষ অকারণ দলাদলি করে, আপনকে পর…

error: Content is protected !!