Category

হোরাসের চোখ

অনাথের গলা পাগলীর দেহ

ভলুয়ার বনে বুনো-বুনো কতো কাক! তীরচোখা প্রেমকাটা কারা যেনো গুঁজে দিলো! তুমিও দেখোনি কা’রা, আমিও দেখিনি কিছু! নাভীমূলে কী জানি কে জপ করে গেলো, তারপর পাগলিরও ছেলে হলো! অনাথের ভীরু ভীরু গলা: নাগালেই ছিলো; অনুমানে, অনায়াসে কাটা গেলো! পাগলিকে যারা যারা মাথা মুড়ে ঘোল ঢেলে নগরের বা’র ছেড়ে এলো, তারা তারা বাহবাও পেলো! তারপরও পাগলির… তারপরও ফি বছর ছেলে হয়,…

কেউ আর কাছে না আসুক

না আসুক, আমার অসুখ শুধু প্লাবিত হবার! মনে কোন ক্ষোভ আর নেই। এও জানো, ‘খুব বেশী রঙ চটে গেলে সে-সময়ে অনেকেই আসে।’ (দেখে-শুনে বুঝে যায় তারা।) ‘এই শ্বাস-ওঠা, খসে পড়া পলেস্তারাও কেউ কেউ খোঁজে।’ কিছুই আসছে না! সে এক সময় ছিল: নতুন নতুন রঙে ‘মণিকার’ দেখা দিয়ে যেতো। এখন আর কেউ আসে না। সেই আমি পুরাতন বাড়ী! (কই, আমিতো জানি…

সংবাদ ও সংবেদন অথবা নোঙর

তিনজন বিধবার যেবার বাচ্চা হলো: একদল রে রে করে মারতে এলো, পাপিষ্ঠা বলে থুথু ছিটালো একদল, একদল তীব্র করুণা দেখাতে দেখাতে ছুটে এলো মাইক নিয়ে। আমাদের কী কী অপারগতা ছিলো, কীভাবে কী কী নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলাম: অনেকেই খুঁজে বের করতে বললেন। অনেকেই খুঁজে বের করতে বললেন পেছনের পুরুষ অথবা পর পুরুষগুলোকে। কেউ কউ বৈধব্যের দিন তারিখ হিসাব করলেন। কারো…

চিয়ার্স

তাহলে, আমরা যারা একই বার-বনিতার কাছে যাচ্ছি তারা কী-ই ‘সতীন’ না? কি ঠিক না বেঠিক? হ্যাঁ? মদ ছুঁয়ে বল! মদ ছুঁয়ে বল। হ্অঅ ঠিক! ঠিকই তো! বহুৎ খুব! বহুৎ খুব! আইচ্ছা যাহ্, পেগওয়ালীর গায় কই কয়খান তিল আছে কইতে পারলে আইজক্যার সব পেগ ফ্রী … বাহ্! তুইতো দেখছি বেশ! প্রেমিক প্রেমিক মাস্তিখোর! কীইই! হ্যাঁএ্যা! হ্অঅ! তিল-ফিল গোনাগুনির কাজে আমাগো তো…

বন-মোরোগের ঝোল

দেখুন, (খুব বেশি যদিও নয়) একটু হলেও উড়তে যারা জানে, জীবন্ত গোছের, শক্ত হাড়ের, গাঁটালো মোরগ: এ তল্লাটে লোকে তাদের বন-মোরগ বলে! (পাতলা হয়ে আসা পাহাড়ি বন যেখানে জুম চাষ পৌঁছে গেছে অথচ বসতের ততোখানি অনুকূল নয় সে’রকম-ই) কোনো এক আপাত-নিঝুম-জঙ্গলে গুই আর বুনোফুলে ভরা পাহাড়ি নদীর বাঁকে বন-মোরগের বুনো ডাক মেঘ হয়ে ঘনঘন কেনো যেনো শূণ্যে মিলায়… বন্ধুর পাহাড়ে…

কুয়াশা

বরফে কুয়াশা নেই। মগজের কুঠুরিতে শীতটুকু পড়ে আছে। কিছু যার তাপে বিনিময়, বাকিটা উগড়ে দিতে সেও মাঝে মাঝে তোর কাছে যায়। সে বালক আর যেই হোক, আমি নই নিশ্চিত! বালকের চশমাটা শিশিরের ভোর হয়ে এতদিনে উবে গ্যাছে। সেইখানে ভারি কাঁচ বসে আছে নাক কেটে নিতে। Download PDF বিজ্ঞাপন

প্রতিশব্দের ডাইরিতে লিখে রাখুন

অনেকেই অঢেল কাপড় পেঁচিয়ে মরে; অনেকেই কাপড়ের নিচে নিত্য উলঙ্গ। বিশেষতঃ শীতে জনতা উলঙ্গ নয়; হয় যদি: ওটুকু অভাব। এবং গ্রীষ্মে, দুপুরের ঠাঁ-ঠাঁ রোদে কেউ যদি পোহায় রোদ্দুর: হতে পারে গাছ নেই, হতে পারে ছায়া মরে গেছে। পরিপাটি পোষাকের গিঁট কেউ যদি খুলে নিয়ে যায় ‘বুভুক্ষু কুকুরের মতো শীতে কি গ্রীষ্মে, ভরা রাস্তায় দৌড়াতে বাধ্য করে’-ওটুকুর নাম: হতে পারে শত্রুতা,…

নিপুন ডুবুরি কে আর

সুদীর্ঘ আশিটি বছর পেরিয়ে আসার পরও, তোমাকে কি ক্ষণজন্মা বলা যায়? হয়তো তোমার মতো হতে পারা গেলো না! তবুওতো কিছুটা সময় পেরিয়ে এসেছে? আশি কিম্বা তারও অধিক বছরের বিনিময়ে নয়, তোমাকে ছুঁয়ে-স্পর্শে তোমার সেও আজ ঠিক যেনো মহিরুহ কেউ! তুমিই বলো না বাবা… কে এমন অতল গভীরে ডুবে আছে; অমন নিপুন ডুবুরি এ জগতে কে আর তোমার? প্রাণ ফুঁড়ে কালে…

কি জানি কি কিনে নেয় ওরা

আমার কোনো-চক নেই! ডাষ্টার নেই! ব্লাকবোর্ডে আর আমি লিখি না! স্কুল নেই, ক্লাস নেই! সকালের ঠান্ডা রোদে আর আমার এসেম্বলি নেই! যখন আমি বুকে নিয়ে নতুন কিশলয় অ, আ, ক, খ শেখাতাম- এই তোমরাই-তোমরাই তো বলেছিলে, ‘ভরপেট-বিদ্যে কি জলে গুলে খাওয়ালি-রে হতচ্ছাড়া?’ আমার বাজারের ব্যাগে ইলিশ ওঠেনি তখন। তবু লাল কালো বাইসাইকেলে ইলিশের ঝাঁক নয় দিব্য সে কচিমুখ দেবশিশুগন: পাড়ি…

error: Content is protected !!