Category

হোরাসের চোখ

পরাবর্ত

মনে হচ্ছে: নির্মম সাঁড়াশি দিয়ে কেউ আমার দাঁতগুলো উপড়ে ফেলছে। আমি চিৎকার করে বলছি, ‘একটু এলোমেলো-থাকুক, একটু দাগ-থাকুক, সামান্য ক্ষত, একটু নড়বড়ে ভাব: তেমন কিছুই নয়।’ অথচ… দাঁতগুলো আমার, আর আমার মুখবিবরে সাঁড়াশিটা তোমার। Download PDF বিজ্ঞাপন

এপিটাফ

এমনকি ছুটির শুভ দিনেও বিশেষত যখন কাউকেই আমার সমাধি প্রদক্ষিণের জন্য কোন প্রকার দক্ষিণা-ই দেয়া হচ্ছে না, এমন দিনে কেউ যদি ঘুমন্ত মাথার পাশে কাঁদতে বসে: আমি সন্দিগ্ধ হই। আশা করি প্রিয় ঈশ্বর তা বুঝবেন। Download PDF বিজ্ঞাপন

পরিচয়

একটা বুকশেলফ আমারও কেনা উচিত। বইগুলোকে কেউ আর বুকে রাখছে না; মাথায়ও রাখছে না। রঙিন মাছগুলো এক্যুরিয়ামে বন্দী; ওদের কোন বন্দর নেই, জানে, ধরা পড়ার পর কোথাও ওদের খালাস করা হবে না! সেই রকম নির্ভয়েই আছে বইগুলো । তেলাপোকায় কাটার ভয় নেই; নিয়মিত ন্যাপথলিন দেয়া হচ্ছে, ঝাড়া-পোছাও করা হচ্ছে। তাছাড়া বইগুলো সেইসব মনিষীর লেখা যারা নমস্য, সচরাচর যাদের এখন আর…

বরং কিছুটা কম

মানুষ হাসপাতালে যথার্থ অর্থে পাগলাগারদে থাকাকালীন অসনাক্ত সময়ে তারা জেনে যাচ্ছে: ‘এখানে মৃত্যুকালীন সময় অবধি খাদ্য সংগ্রহের তাগিদ বরং কিছুটা কম; আর মর্গে তা একেবারেই নেই।’ Download PDF বিজ্ঞাপন

আঁজল খানিক জলে

এই বিবর্ণতার সমীপে আমি কোন প্রশ্ন রাখিনা। চটে গেলে রঙ প্রশ্ন করি না আর। খুব জানি ওরকম হয়। বর্ণনাময় আয়েশী ঋতুর যে সকল কালো জামা সহসা-ই গায়ে ওঠে না, সেগুলোও চোখে-মুখে কালচে দাগের রুপে কখনওবা সাদাটে ইষৎ বলিরেখা আড়ষ্ট আজ, লেপ্টে কুঁচকে আছে। কী এমন ঝড় আছে কখনো ছোঁবে না বলে বড়াই-বা করা চলে? একদা সকালে পাখিরা ডাকার আগে যে…

ইরাবতীর জন্য অভিশপ্ত প্রেম

(১) চলো তবে মেলে ধরে কয়েকটি বই, পড়া যাক: পৃষ্ঠা কতক জুড়ে কালো কালো অক্ষরে স্মৃতিকথা যতো! ভালো আছো, ইরা, ভালো আছো তো? (২) জানো ইরা, মানুষের মৃত শরীর হতে রক্ত: কখনোই গোল হয়ে বের হয় না; ফিনকিও দেয় না- ধমণী ও শিরায় ছোটে না মৃতদেহের। (৩) হায়! কেন যে তখন ঘাসফুল কেনা হলো; কেনা হলো কতক গোলাপ? যে যখন…

বিদগ্ধজনের কাব্য

পটলগুলোকে নিয়ে কিছু না বললেই নয়। সচরাচর ওরা যখন রুই জাতীয় মাছের ঝোলে গড়াগড়ি খায়, তখন পটল আর পটল থাকে না। তার’চে এই ঢের ভালো: এক কোনায় পড়ে থাকা পটলগুলো দিয়ে পটল ভাজি, তেল পটল অথবা পটলের রসা-ই হোক। পুনশ্চ: আলুকে সর্বরোগ বিশষজ্ঞ বলা চলে তবে, পটলকে তাই বা বলা যাচ্ছে কই? Download PDF বিজ্ঞাপন

অনন্য অস্তিত্বের সুগন্ধ টের পাচ্ছি

কোন এক না-ভালো থাকা দিনে বইখানা পড়েছিলাম। বই কিম্বা লেখকের নাম কোনটাই কখনো বলবো না। পড়তে পড়তে এ বিষয়ক কথাগুলোই হচ্ছিল যে, ইদানিং কোন এক-অনন্য অস্তিত্বের সুগন্ধ টের পাই আমিও। কে কখন কার সাথে কথা কয়! কাকে যে কখন পড়ে মনে! অথচ লেখকতো মৃত; অথচ তার ফিরে আসার কোন সম্ভবনাও এখন আর নেই। কেন যেন তার সাথে কথা বলছি, কথা…

দ্বিমুখী জ্বলনের বাকি পালাটুকু

প্রসঙ্গত, একবার বলে রাখা-ই ভালো ‘কেন বাসন্তি এবারেও না এলে কান্না-ই বরং শ্রেয়তর হবে’-সে বিষয়ে। বিরহের বিচুটি পাতা কাঁচুলির অন্তরালে ইষৎ ঘষে দেবার পর যুগপৎ বিরক্তিকর এবং ভীষণ-ই লজ্জার দ্বিমুখী জ্বলনের যে পালাটুকু বাকি থাকে, তারচে বরং মৃত অথচ সিংহের এ-ই ততোধিক মরা মরা কেশর-ই একরকমে অতীব ভালো। অমুকের থেকে তমুকের দিকে ফিরে তাকিয়েও ওসকল জ্বালা আর সর্বদা সজল দুটো…

না থাকা অথবা থাকার রসায়ন

রোদ্দুরে অথবা ছায়ায়: যেকেউ একজন হলেই আমার অন্তত চলে না। তোমাকেই চাই, প্রয়োজন তোমাকে। কি এক ম্যাজিক জানে রসালো পেঁয়াজ, অনবরত খোলস ঝেড়ে ফেলে একসময় বেমালুম-ভ্যানিশ! আমিও তো জানি! খোলস বলে না একে, শল্কপত্র-ই বলে। জানি, আমি জানি, তোমারও তেমন কোন খোলস-ই নেই! অদ্ভুত শল্কপত্রে আমি আমার হাত অথবা ঠোঁট কোনটাই রাখি না: পাছে! তুমি নাই হয়ে যাও। Download PDF…

error: Content is protected !!