Category

হোরাসের চোখ

এসো

তুমি কি আমার সাথে নাচতে চাইবে? ব্যালে বা কত্থক: যা খুশী! চলো, নাচি- ময়ুর বা ডোডো পাখি: কে কেমন নাচে, আমার তা জানা নেই। চলো, পিঙ্গল নাভির বুকে বরফের নাচের মতো কিছু হোক! অথবা কেউই কাউকে ছোঁব না তবুও নাচবে তুমি, নাচবে হৃদয়… Download PDF বিজ্ঞাপন

অজপা জন্মের আগে

গোলাপ দিবি? তীব্র ক্ষুধায় যে গোলাপ মনে হবে শর্ষের শাক পাটা-পোতায় পিষে ইষৎ লবন নাহয় দিয়ে নেবো আমিই! তুই যেন নতুন করে লবন দিসনে! নতুন লবন দিলে চোখের নোনা জলে সাগর মিশে যায়। অবহেলার গুচ্ছ-গোলাপ নোনা ইলিশ হ’য়ে গেলে অতো বেশি মোহময়ী স্বাদ সয় না ! গোলাপ দিবি? হাতের মুঠোয় তোর যে কটা গোলাপ আঁটছে না, কিম্বা যেগুলো বাসি-না হয়…

তবু কিছু চাল হলো ডাল হলো

বোঝা হয়ে ছিলো! কারো কারো আঙ্গুলে আংটি মানায় না। এক ছিলো ছাদনাতলার যুগ, সেই থেকে চকচকে আংটিটা হাতে পরে আছি। চকচকে জীবনের রঙ জ্বলে জ্বলে ফিকে হলো; চকচকে মিঠেরোদ তমসায় মরে যেয়ে হলো কালঘুম। কিছু কিছু অসময় থাকে কাউকেই কিছুতেই বাঁধে না- একদিন মরা মুখ মুছে দিতে বাঁধেনি যেমন! মনে আছে, সেই কবে দিকে দিকে একদিন রটেছিলো, ‘জীবনের সুতো নাকি…

সেই প্রেম বালিহাঁস

যখন ভালোবাসি, প্রেমে পরার মতো করেই-বাসি! না মজে প্রেমে, ওরকম ভালোবেসে আমার কী লাভ? ইদানীং তেমন ভালো-বাসা, হ’য়ে আর ওঠে না আমার; প্রেমে তাই কদাচিৎ মজি । ইস্, ঘুমে তুমি! কখন ঘুমালে তুমি নীড় ভাসা, ডুবে আসা-প্রেম; কতোদিন ছুঁয়ে যাওনি; কতোদিন হয়নি আলাপ! তুমিই তো সেই ইরাবতী, নাহ্! খুব বেশি ভালো বাসতে কি জানো! জানো না? ‘বিকেলের আলো ফুঁড়ে সাদাটে…

কোথায় যে রাখলাম

ইরার নরম হাত হারিয়ে ফেলেছি। ইদানীং দিন-রাতে র্দীঘ সময় খুব বেশী যন্ত্রণা হয়; দাঁতে দাঁত চেপে থাকি! বলেছিলো ইরা,‘প্রিয় কেউ এলোমেলো চুলে আদরের বিলি কেটে দিলে, শান্তি মেলে!’ ইদানিং খুব বেশী ব্যথা হলে, ইতস্ততঃ চুল ছিঁড়ি! ইরার নরম হাত হরিয়ে ফেলেছি। পকেটে নেই, সিন্দুকে নেই: কোথায় যে রাখলাম… Download PDF বিজ্ঞাপন

প্রাপ্তি

তপ্ত মৃদঙ্গ, আকাশের বুকে কেন মৃদু-টক গন্ধ! বৃষ্টি বিশেষ নেই, বিশেষ বজ্রপাতে গাঁয়ে গাঁয়ে ঠাটা পড়ে: রোদ্দুর মরে গেছে। ঝলসানো অঙ্গ বিশেষ এখন আর রতিজ্বরে কাঁপে না। Download PDF বিজ্ঞাপন

রূপোলী খড়গ

সাধে কি সে রূপে নয়ন বিঁধে গো? মজানো মোহের ঢেঁকি, ক্ষণিক খড়ুগে আঁচল বুলিয়ে যা! রঙীন নগরে আকুলি বিকুলি প্রেম, রূপোলী খড়গ: রসনা রসেতে গা ক্ষণিক ভিজিয়ে যা! কতকাল পরে জোয়ারের তোড়ে তুই রুধীরে রাঙাবি পা! চল, লোভে ভরা চোখ এবার দেখবি খুঁজে! নর্তক মোহে মজে পিয়াসী নয়ন বুঁজে র’বি আজ, সে কি! দ্যাখ, কামনার ঘায়ে আহত প্রেমিক কুকুরের মাখামাখি…

প্যান্ডোরা বক্স

সুপুরুষ প্রতিক্ষায় ছিলো। একদিন এপিমেথেউস প্যান্ডোরার কাঁধ স্পর্শ করে প্রণয়ের শপথ নিলেন। এমন বিজয়ে দেবরাজ স্বয়ং জিউস নজরানায় গেঁথে দিলেন অদম্য কৌতুহল আর অসমাপ্ত এক জীবন। অতঃপর প্যান্ডোরা রুপকথা ছুঁয়ে গেলো ! Download PDF বিজ্ঞাপন

অক্ষম অক্ষর

‘কবিতা লেখাটা’ বড়লোকের বাতিক- অথচ, নিতান্তই কারখানা টাইপের-প্রেস থেকে নির্বোধ হাভাতে কবি কিছু অক্ষম অক্ষর ছাপিয়ে, ঝুলি ভরে মাঝে মধ্যেই হাজিরা দেন পরিচিত বন্ধু বান্ধবের আড্ডায়। সচরাচর কবিতা কেউ শোনে না, পড়েও না। নিতান্তই ধার শুধবার ক্ষমতা নেই বলে: কেউ কেউ করুণা করে। হাত পাতবার লজ্জায় কবি আজ বই পাতে! তারপর, যে যা দেয়! ত্যক্ত-বিরক্ত সুহৃদেরা আজকাল ধীরে ধীরে ছেড়ে…

যুদ্ধ না গৃহস্থালি

বোলতার কোনো অধিকার নেই কার্নিশ অথবা ঘুলঘুলিতে বাসা বাঁধার! মৌমাছি হলেও নাহয়, কিছুদিন পুষলেও পুষে রাখা যেতো! সাহেবের বাগান বাড়িতে মৌমাছি কোনোমতে মানালেও মানিয়ে যেতে পারে; বোলতা মানাবে না! তাছাড়া- বোলতার বৌ, বোলতার ছেলে আদোতেও বুলেটের রক্তের কেউ নয়! ‘বাদাবনের মৌয়াল’, তার কাছে ধুনো জ্বালাবার ট্রেনিং নিয়ে, রাজপথে বিকৃত পিকেটারের দেখাদেখি গ্রনেড ছুঁড়ে; অকারন অভিমানে হতাশায় গায়ে আগুন দিয়ে মরেছে…

error: Content is protected !!