Category

কালো মেম

অধিকার

জানো কি, কতোটা তৃষ্ণার্ত আমি? মরুর বুকে মেরুর পিপাসা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি, খোলো দ্বার বন্ধু আমার। বুকভরা নেশার পানীয় চাতক পিয়াসী তার বিন্দু কয়েক। দু’ফোঁটা দিলে ক’ফোঁটার হয় হ্রাস? আদি মানবের ধারায় জেগেছে ব্রোঞ্জীয় সন্ত্রাস, বিক্ষুব্ধ পিয়াস সবটুকু গ্রাস করার আগেই; একটু একটু করে সবটুকু অধিকার করার আগেই মধ্যস্থতা করো। দ্বার খোলো বন্ধু আমার। Download PDF বিজ্ঞাপন

গল্প

কঙ্কাবতী শোনো, কাঁকনবালার গল্প জানো তুমি? দাসীর হাতে সুঁচ রাজা- তার আপ্যায়নে মানা, জঙ্ঘা, ঊরু, ব্যাপ্ত ভ্রু, উড়াল সুখের ডানা, দাসী বলে, ‘অল্প অল্প চলুক, স্তন আর ত্রস্ত কোটি, মুখের কথা বলুক একটিবার।’ সুঁচের ভারে চোখ বুঁজে থাক রাজা। না দাসী না তুমি: আঁধার কোঠায় সবই সমান পিছল পিছল লাগে। তুমি তার সামনে দাসী তার পেছনে। Download PDF বিজ্ঞাপন

তুমি বললে

তুমি খুশি হলে। বললে, “দেখো, শিশির ভেজা ঘাঁসের ডগায় বিন্দু বিন্দু জল।” আমি বললাম, “সে কি চোখের জল? পাঁপড়ি ছুঁয়ে মঙ্গলের আকাশ ভেজায়?” তুমি খুশি হলে। বললে, “শোন বাতাসে শনশন শব্দ বাঁশ বনে।” বললাম, “সে কি প্রকৃতই রণভেড়ী নয়? দামামা বাজিয়ে বলছে না এসো যুদ্ধ করি? ফোঁটায় ফোঁটায় রক্ত ঝরে পড়ে বুকের জমিনে। সে কি আর্তনাদ! তুমি কি সেই শব্দ…

জ্বলন

হে স্বঘোষিত পুণ্যাত্মা, আমাদের কিছু প্রশ্ন আছে। জেনে রাখবেন জড় বস্তুর মতো আজ্ঞাবাহী আমাদেরও প্রশ্ন থাকে। আমরাও, প্রশ্ন না করে পারি না। হে স্বঘোষিত পুণ্যাত্মা দয়া করে বলুন আমাদের মস্তিষ্কের কোন অঞ্চল পক্ষাঘাতগ্রস্ত হলে, নিজেকে মহামানব বলে, মনে হয়? মনে হয় স্তাবক দল আর ক্রীতদাসের মিছিল, ন্যায্য পাওনা ? মস্তিষ্কের কোন অঞ্চলে পক্ষাঘাত হলে, নিজেকে মনে হয় হিমালয় সমান উঁচু…

ছোট গল্প

মেঘ ছিলো আকাশের গায় ঢেলা ছিলো ডোবার পাড়ে। বহুদিন আগে ওরা দুজনেই উঠেছিলো জেগে কোনো এক ডোবা থেকে। বড় ভয় ছিলো মেঘের, পাছে সে ডোবায় পড়ে! ঢেলা ও ডোবার মাঝে যোজন তফাত! ভেসে যায় মেঘ। মাটির ঢেলাটি থাকে গড়িয়ে যাবার ভয়ে। একদিন মেঘ বললো, “বন্ধু, মাটির ঢেলা, আমি যখন আরও ভারী হয়ে ঝরে পড়বো মাটিতে তুমি আমায় ধরো, যেন এই…

কবিতা

কবিতা, ভাগ্যিস তুমি মানুষ নও! দু’বেলা করে খাঁ খাঁ করে না চৈত্রালি চর। তুমি বেঁচে গেছো! অভিযোগ নেই, অপবাদের ভয় নেই। নিশ্চিত যোগানে, পুষ্ট উদরে বেশ আছো। আজন্ম বিলাসী তুমি বুকে নিয়ে দুঃখ সাগর পাথর হয়েছো! দুঃখ নেবে, আমি দুঃখ ফেরিওয়ালা, আমায় করো না পর, ক্রীতদাস মাঙ্গে ভিক্ষায় বিশ্বস্ত অন্তর! কবিতা তুমি খাতার পাতায় থাকো, বেড়িয়ে এসো না দ্রোহে, শান্ত…

দিনাতিপাত

দিনাতিপাতের নিয়ম আছে! পাছে, পথ ফুরোয় সেই ভয়ে হাঁটি না; হাঁটি না সে অনেক দিন। না হেঁটে শুয়ে বসে– অতিরিক্ত অধঃপাতে গেছে দিন; বকে দিতে হবে। ওকে পরশু বকে দেবো, আজ না ছুটির জন্মদিন! অফুরন্ত অনন্ত ছুটি একে একে সময় ও ব্যস্ততা কেড়ে নেবে; সুখতন্দ্রায় যাবো। অনিদ্রায় সুখ আছে ? সে সুখ তো হলো না খোঁজা। বোঝা হয়ে আছে– কথা;…

প্রান্তর

একদিন যে স্বপ্ন করেছিলো বিভোর, তারই অপমৃত্যু, দেখি চেয়ে চেয়ে। অকাল প্রয়াণে তার মূর্ত স্মৃতি, থেকে থেকে আসে ধেয়ে। একদিন বন্দী সময়, যুগলে যুগলে করেছিলো বিশ্বভ্রমণ, এমনই অতল তলে ডুবেছে সময়। যতোটা কষ্টে মানুষ ডুবে যেতে বসে, মন ডোবে, ডোবে প্রান্তর, সেরকম কষ্টের সবটুকু দিয়ে কেন এ অসময় সাজানো প্লেট? কেন তাকে মনে করানোর বিস্তর এ আয়োজন ? Download PDF…

পাখি

রোজ সকালে বারান্দায় বসি; আমার ঠিক সামনেই, প্রতিদিন উড়ে এসে বসে একটা সোনালী হলুদ আর লাল মেশানো পাখি। কি নাম তোমার পাখি? গাও আর ওড়ো? ওড়াউড়ির চূড়ান্ত হলে পাখি, ঘরে ফেরো। আমার মুগ্ধতা রেখেছি– ওর নয়নে বাঁধা। ওর জন্য একটা বাগান করেছি: কখনও গোলাপ কখনও চন্দ্রমল্লিকায় বসবে বলে। কতোটা যত্নে ও আমার হবে জানতে চেয়ে, লিখেছি চিঠি; স্বপ্ন দেখেছি মনে…

এক দফা দাবি

ভাবনাগুলো বন্দী হয়ে আছে, মুক্তি পেলে মিছিল করবে। রঙিন প্লাকার্ড আর বর্নালী ফেস্টুন হাতে মুঠি মুঠি পাকানো মুষ্টি তুলে, বলবে, বলতে চাই, বলতে চাই, মনের কথা বলতে চাই। মুখ বুঁজে আর থাকবো না, স্বাধীন পথে চলতে চাই। এমন কি হতে দেয়া যায় ? জমা ভাবনার সারি, কবে থেকে বন্দী হয়ে আছে। আজন্ম পাতকের ভাবনায়, সেই চোখ, নাক ঠোঁট কপালের টিপ,…

error: Content is protected !!