Category

সকল কবিতা

কবি তন্ময় সাহা এর সমগ্র লিখনি পেতে আমরা আছি আপনার সাথে। কবি তন্ময় সাহা রচনা সমগ্র দেখুন এবং পড়ুন।

আসুন কাদা ঘাঁটুন

পুকুর সেঁচে আমোদের মাছ-ধরা হলে মাখোমাখো অনেক মানুষ একসাথে কাদায় নামেন। বেড়াজালে বেড়া দেয়া হয়; মাঝে তার লক্ষ মাছের লম্ফ এখানে থামে। থামে মাছ ও মানুষ। পোকার মতন কিলবিলে মাছেদের ঝাঁক, কাদার খলবল, মানুষের কোলাহল, কোলাহল ডানে-বামে- আধুনিক কাদা সেঁচা মেশিনের ঘর: রাতভর যন্ত্রণা-সেঁচা কাদা জমে যায়- সব মাছ ধরা হয় না। সব মাছ ধরে না মিছিল। কিছু মাছ হাড়িতেও…

পীড়িত

মাইয়াডা যাবার চায়নি; পোলোডাও যাবার চায়নি- মেয়েটা যেতে চায়নি; ছেলেটাও যেতে চায়নি তবু ভালো না বেসেই ভিন্ন ভিন্ন পীড়িতের ঘর তাদের হয়েছিল-ভিন্ন ভিন্ন লোকে খুবলে নিলে পিনদোনের লুঙ্গি, শাড়ি-পুঙ্গার তলে একে একে ডজনখানেক ছানাপোনা দেখা গেল। দিন কতক ডিমে তা দিয়ে তারা ভুলে গেল, ‘পিরিত নামেও কিছু ছিল।’ সবশেষে, মেনে নিল ‘প্রেম না, মরার গতর হল; সত্যি… বাকি সব সামাজিক…

থ্যবড়ানো সংস্কৃতি

কী এমন সংস্কৃতির দায়ে গুণীদের চুপচাপ বসবাস; কারো কারো মাথা থাকে না? যার যার মাথা থাকে চোখ থাকে অন্য মাথায়? থাকে তো থাকুক চোখ হৃদয় বা কেন! হৃদয় বদলে গেছে থ্যাবড়ানো কাদায়! পেটের বেলায় শুধু একে খেলে অন্যের পেট ভরে না! নারকেল মালাই মাথা, প্যাঁচপেঁচে গুবরে ঘিলু, ক্যাঁতকেতে প্যাঁক-কাদা হার্টগুলো বয়ে নিয়ে অনেকেই নাইতে নেমেছেন। কারো প্রসংশায় যখন কেউ পঞ্চমুখ…

মিঠেকড়া উত্তাপ

‘বাহ্! সভ্য হতে বেশ বেঁধেছো গলায় গলাবন্ধ! কণ্ঠ থেকে স্বর বেরুবে কবে?’ প্রশ্ন ছিল ‘মনের জ্বালায় নিত্য যখন জ্বলো! ঠিক বেঠিকের হিসাব হবে কবে? তোমার থালা তোমায় দেবে কবে?’ হেলানো রোদ্দুর হয়ে ‘আলো’ আসবে; মিঠেকড়া উত্তাপ সাথী করে ‘আলো’ আসবে; একদিন জীবনের ‘নতুন আলো’ আসবেই… – ‘আইবোই? – হয় হয়, আর আইছে! – হ, আইবোই! দেইখো মিয়া, দেইখ্যা লিও!’ Download…

নস্যিতে আস্থা রাখুন

এক ফালি জমি তিনি বেচবেন! বেচবেন ভিটে! বয়ে নিয়ে ফাইল-তিনি এলেন। ভালো মানুষের পাশে ছিল সর্বজ্ঞ পন্ডিত। বিক্রেতা আবেগী বস্তাটা রাখলেন টেবিলের পরে। অগাধ আস্থায়- ‘এই হলো কাগজপত্রগুলো! কী ধারণা বলুন।’ দিস্তা দিস্তা কাগুজে পাহাড় খুলতে খুলতে তিনি বললেন- ‘এই হলো কাগজ। না বললে শুনছি না, ভায়া।’ তখনই সর্বজ্ঞ ডানা মেলে ধরলেন। ‘ বলেন কী! কাগজ এবং পত্র! কারো কোনো…

প্রেম প্রস্তাব নাকচ

শোনো, মন চাইলে রাঙিয়ে নেবো রঙে। না চাইলে ঢঙ্গি সাদামাটা। বন্ধ করো বুকের কুলুপ আঁটা। মনের মাঝে সদর দরজাটা থাক না খোলা। ছোট্ট বাসর ঘরে ‘খাওয়ার আগে কিংবা খাওয়ার পরে কী কী করা উচিৎ’, জেনে নিয়ো। এরপর চুমু দিতে হলে নিজে এসো, মশা পাঠিও না। পত্রমারফত প্রেরিত প্রেম প্রস্তাব নাকচ করা যেতে পারে। Download PDF বিজ্ঞাপন

সফল আলোচনা শেষে

সব এজেন্ডা আলোচিত হয়েছে; সকলে একমত হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। অনেক অনেক প্রাপ্তি রয়েছে। রয়েছে: আশ্বাস, প্রতিশ্রুতি, ডেডলাইন… বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছে নাগরিক। বহুদিন পর- বাস্তবায়ন কমিটি গঠিত। আরও বহুদিন পর- যতই বুড়ো হও দাদাঠাকুর তোমায় তেপান্তরের মাঠই দেখাবো; কেবল দৌড়োবে তুমি… Download PDF বিজ্ঞাপন

প্রভু পাছা রাখলেন

রকমারি বাণিজ্য মেলায় কৃপা করে প্রভু আসলেন! কয়েকটি মৃত মৃত মানুষ, ফাইলও মগ্ন ছিল নগ্ন-ফরমাসে। একান্ত বিরহী যেমন থাকে আন্তরিক অপেক্ষায়! প্রভু আজ তেমনি অপেক্ষায় রত! অথচ নীতি-দূর্নীতি নীতিমালা নিয়ে অযথা কর জপে চলেছিল একজন দক্ষ কামলা। অসহ্য অফিসার! প্রভু রাগতে গিয়ে যেন একটু বেশিই রেগে গেলেন। কিছুক্ষণ অপেক্ষার কষ্ট করার পরও কৃপায় প্রভু পাছা রাখলেন! পায়ের উপর পা তুলে…

সাংসারিক

ঠাকু’মা ছিলেন রান্নাঘরের রাণী। প্রশংসা বলতে তাঁর রান্নার, অতুলনীয় স্বাদের খাবার- পোস্টিং রান্নাঘরে ফিক্সড। মা আসলেন; ঠাকু’মার পদোন্নতি হলো। তিনি হেড রাঁধুনি হলেন; মা বাটুনি হলেন। আমাদের জন্মের পর বাটুনি বেড়েছে; কাকাদের বিয়ে হয়েছে; কর্মকর্তা ট্রান্সফার হয়েছেন অন্যান্য ব্রাঞ্চে। ততদিনে পিসিদেরও বিয়ে হয়ে গেছে, তথাপিও ঠাকু’মা হেড রাঁধুনিই রইলেন। সকলে আমাদের বাবা-মায়ের সন্তানতুল্য বলে, মায়েরও প্র্রমোশন হলো। ঠাকু’মা সস্নেহে বললেন,…

কবিতা লে লো কবিতা

ব্যাগ পাতুন স্যার, সাড়ে নয় টাকা দরে দুই কেজি কবিতা মোট উনিশ টাকা চার টাকা ডিসকাউন্টে পনেরো টাকা মাত্র! আসবেন স্যার; জীবনবোধ, ব্যঙ্গ বিদ্রুপ, দেশাত্মবোধক, মমতাময়ী, বিদ্রোহী: সকল রকম ছড়া, পদ্য, মিল-অমিল সব নগণ্য মূল্যে দেবো! আমরা কবির দল অচল মালের দোকান খুলে অপেক্ষায় আছি ভালো না হলে আমার গাল আর আপনার জুতো আরো জানুন: সাংসারিক এছাড়াও দেখুন

1 2 3 28
error: Content is protected !!