Category

সকল কবিতা

কবি তন্ময় সাহা এর সমগ্র লিখনি পেতে আমরা আছি আপনার সাথে। কবি তন্ময় সাহা রচনা সমগ্র দেখুন এবং পড়ুন।

সামিয়ানা

কখনো একটু ঘুম, একমুঠো ভাত, লজ্জায় একটু আড়াল শুধু নয়, ছুটে আসা বিপ্লব খেলা করে। একজন প্রেমিকের কোলে ছুড়ে দেয়া রুটিখেকো নয়; একখানি শীতল পাটির বুকে শীল-যোদ্ধার মোড়ানো দেহ, বঞ্চিত প্রেমিকের উঁচু মাথা, মুমুক্ষু কাঙালির শুভ্র সন্তান- অভুক্ত সেইসব পেট সবচেয়ে দামি। যে পৃথিবী মরা জোৎস্নায় ম্যাড়মেড়ে হতে হতে সামিয়ানা দিতে ভুলে গেছে, ভুলে গেছে রুটির আবাদ: এরকম-ধানক্ষেতে, মরুভূমি-নদী বুকে…

ফেরা

ভেঙে ঘুম রাতের গভীরে, স্মৃতিতেও ফেরে না যাযাবর। স্বপ্নের, মৃত্যুর, বিবিধের বোঝা বয়ে বয়ে, আরাধ্য নগরে অভ্যাসে অতৃপ্তি শুঁকে শুঁকে অনেকেই আসে স্রোত বরাবর! চোগলখোরির ঘেটু দরবার-গোখরার নাচ দেখবার খুচরো তো নেই! এছাড়াও দেখুন: সামিয়ানা বিজ্ঞাপন

কত কিছু হলো না বলা

মাঝে মাঝে পুণ্যেও অনুতপ্ত হতে হয়। মাঝে মাঝে শতবর্ষ লাগে গঙ্গাস্নানে। সাধা ভাত ধুলায় গড়াগড়ি- অসাবধানে, অগোচরে- কাক ঠোকরায়। তুমি ভাবো দেবতার দাঁত… এছাড়াও দেখুন: ফেরা বিজ্ঞাপন

বুনো কথা

তারা অত সাতে-পাঁচে নেই; ছাপোষা প্রেমিক তারা- জ্বলছে আগুন-তাই পুড়ছেন! রহস্য! শারলক, আপন শিশুরা বাড়ছেন হোমসে শুদ্ধ শাইলক তুমুল বেগে-ই ছুটেছেন শালিশে নালিশে। চব্বিশটি ঘণ্টা খোলা- চায়ের দোকানে তুড়িতে ত্বড়িত সমাধান! ‘কালাপানি, ওখানে রত্নেরা রপ্তানি হোক! এতো টিকটিকি রাখবো কোথায়?’ এইবার মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ নয় প্রেম-ই দেখান। অযথা প্রলাপ না বকে প্রেমই দেখান। তিন বেলা রুটি যারা ভালোবাসে, কিছুটা সময়…

ফাঁসি

রস রস বলে রসিক শেখর রসনা করেছে বাসি, দেবদাসী প্রেমে মজেছে নাগর; রাণীকে করেছে দাসী। মান মান করে মদিরা ধরেছে; মদনে পরেছে ফাঁসি। পিয়াসের জালে অকালে মরেছে; জিতে গেল দেবদাসী! এছাড়াও দেখুন: মাইকেল হাঁটতেই নেমেছেন বিজ্ঞাপন

মাইকেল হাঁটতেই নেমেছেন

না জেতা মেডেল, না বাঁধা জুতোর ফিতে কিংবা টাইয়ের নট- এলোমেলো। সোহাগ বকেছে তাকে? অবশেষে ক্লান্ত দেহ-মন। বলেছ কি তাকে, ‘ও আমার এলানো পাথর, ঘুমাও।’ কেন তার সকাল হচ্ছে না? কেনইবা ও সকাল সকলের নয়? কখনো কি হয়েছিল অকালে সকাল? কিলবিলে কৃমিকীট, জোঁক সেও শুষেছিল, কি এমন পাঁক যাতে- ডুবে যেতে যেতে শুভবোধ ব্যথা পেয়ে উবে গেল? ছিল অপমান, অপবাদ,…

শব্দভেদী নীরবতা

নিজেকে যায় না বোঝা শ্রেষ্ঠতম অসময়ে; সময়ের কঠিন, অমোঘ কবিতা আমি আজ বুঝব কীভাবে? একটুও আবৃত্তি না জানলে, না জানলে মুগ্ধতার কাব্যকলা- হতে পারা যায় কি প্রেমিক? দাঁড়ি-কমা, নীরবতা শব্দভেদী, সেই সাথে থাকে যদি দরদ একটুখানি, সোনায় সোহাগা সেতো। দুর্বোধ্য কবিতার প্রেম; অধরা সে। অ-কৌশলে কি করে চলে অসম সত্তায় এমন বসবাস- জীবন যখন অন্যরকম! তবু আমি কোনোমতেই কান্নার কবিতাটা…

আবাস

অনেকগুলো দিন আমি প্রতীক্ষায় থাকব। হয়তো আমিও ফিরে যেতে চাই অনেকগুলো দিনের পিছনে! সময়, তোমাকে কখনো এগিয়ে কখনো পিছিয়ে যেতে বলি। একদা রেডিওর নব ক্রমাগণ ঘুরিয়ে ঠিকঠাক ফ্রিকোয়েন্সি খোঁজা আমি এখন সময় হাতড়াই। সেখানেই থিতু হতে চাই, যেখানে তোমার বসবাস। এছাড়াও দেখুন: শব্দভেদী নীরবতা বিজ্ঞাপন

একটাই চিঠি এনেছে

ছেলেটা অনাথ। ওকে ভালোবাসলে জানব, ‘আমার অনুমান আজো একই রকম সঠিক; একই রকম নির্ভুল।’ ওকে তোমায় ‘মা’ বলেই ডাকতে বলেছি। চাইলেই মা হতে পারা যায়, হুটহাট বাবা হতে পারে না সবাই। তোমাদের সন্তান কখনই আমাকে ‘বাবা’ বলে ডাকবে না। এই পিতৃহারা সন্তানটির আমিই পিতা । তোমার স্বামী, ভদ্রলোক কেমন আছেন? আমি কি আগে দেখেছি কখনো তাকে? তিনি ওর বাবা নন।…

error: Content is protected !!