Category

সকল কবিতা

কবি তন্ময় সাহা এর সমগ্র লিখনি পেতে আমরা আছি আপনার সাথে। কবি তন্ময় সাহা রচনা সমগ্র দেখুন এবং পড়ুন।

ঘোর

তিনি আমার স্বল্পপরিচিত। জানতে চাইলেন, ‘আপনি কি প্রায়শঃই ঘোরের মাঝে থাকেন?’ আমি বললাম, ‘তা বটে। মাছ থাকে জলে, হরিণ জঙ্গলে, আমি থাকি ঘোরে। ঘোরে আমার বিলাসী বসবাস।’ জানেন, ঘোর থাকাটা একরকমের ভালো! বাজছে কি চুড়ির রিনঝিন নাকি সে গাড়ির বেসুরো হর্ন, আদুরে প্রেমিকা পেলেন অথবা বেরসিক লাঠি; টেরই পাবে না কেউ। ব্যথা আস্তে আস্তে সারতে থাকবে। আস্তে আস্তে ভুলে যেতে…

জরুরি যুদ্ধরত

ছেলেটা আমার মতো, জরুরি যুদ্ধরত। কতশত বৈশাখী ঝড়ে ঝরাপাতা ওর; গোনা হলো না। যে পথে রোজ বাড়ি ফিরি, সেই পথে- আনাড়ি ধুনুরি, লেপতোশকের দোকানটা আগলান। আমি তার সশব্দে তুলোধোনা শুনি। ছেলেটা আমারই মতো যত্নে ,জরুরি যুদ্ধটা চালিয়ে যায়। ধুনুরির ভয়ে কাঁপে। আনাড়ি ধুনুরি চ্যাঁচায়, যুগপৎ। আরো পড়ুন: হলিডে বিজ্ঞাপন 

হলিডে

জীবন্ত বিক্রি নেই। নিজস্ব মৃতদেহকে নিলামে তুলব বরং যে দয়িতা আগুন দেবে মৃতদেহে; গুরুভার তার! ইতিপূর্বে পুড়েছি যাদের ঈর্ষায়- সেদিন তাদের হলিডে দিলাম, আসতে হবে না। আরো পড়ুন: সুমতিটা হোক বিজ্ঞাপন 

সুমতিটা হোক

যাদেরকে আমার ভালোলাগে তারা দেখতে- নাকটা, চোখটা, গড়নে বা মননে অনেকটাই তোমার মতো! যদি তারা তোমার মতন দুরছাইও করে তবুও তাদের প্রেমে মগ্নই হবো। বন্ধুত্ব, ভালোবাসার গল্পটা আদতে অন্যরকম, মানুষ মানুষ খোঁজে, আত্মার আত্মীয় খোঁজে। অসুস্থদের দেখেছি, তারা বলে ‘দিয়েই এলাম কোনোদিন হাত পাতিনি!’ অথচ যোদ্ধা মাত্রেই জানেন, ‘সহযোগ’, ‘বাঁচবার মন্ত্র । অনাহার থেকে একাকিত্ব ভরপেট থেকে নিরাপদ ঘুম, সন্ন্যাসে…

হেঁটেই ফিরতে হয়

হাজার টাকার নোটে; আয়েসি বাড়ি ফেরা হয় না। অনেকেরই খুচরো নেই। নিকট কি দূর নেই ফিরবার! ফেরারি মাঝারি পথ হেঁটে হেঁটে, একাকী ফিরতে হয়- খুচরোরা থাকে না আরো পড়ুন: সাদা থান বিজ্ঞাপন

সাদা থান

‘খুব ভালোবাসি তোমায়’, বলেছিলাম। সময় এমনই ছিল, ছিল নজর ভালোবাসবার মতো। সুকোমল প্রেমটুকু কাউকে না কাউকে তো দিতেই হতো সুকুমার প্রীতি উপহারে। ‘তোমাকেই ছুঁতে চাই’ মানসিক-শারীরিক রাসায়ন- কাউকে-না-কাউকে তো ছুঁতেই হতো। তোমার জন্য যুদ্ধে নেমেছিলাম। তোমার জন্য রাগ, বিরোধ, বিবাগ মন ও দেহের দিকে চেয়ে। বলেছিলাম, ‘এবার বসন্তে হবে আমাদের বাসন্তী মেলা…।’ বলেছিলাম, ‘মিলেমিশে এসো প্রিয় দেহ মনে একজোট হই।’…

বাড়ি যাচ্ছি

চলতি পথে পথও করে আড়ি, বাড়ি যাচ্ছি! বাড়ি! বৃষ্টি থাকে, মিছিল থাকে, জটলা থাকে, ঝড়ও- নাহয় গায়ে জোর থাকে না, জ্বরও- না হয় বুকে দম থাকে না, কম থাকে। পথও বলে বাড়ির ও পথ কঠিন করো আরো, দাও বিছিয়ে আরো কঠিন শাপ। শাস্তি হলে, শোধ হবে ওর পাপ! নিজেই নিজের কাঙাল অভিশাপ, ওই পেয়ে ও মরুক। এত্ত কেন ফেরার দেরি…

মন মনের কথা বলছে

ছোট সুখ জমে জমে পর্বত প্রমাণ! আমার বুকেতে ছুড়ে দিন; ব্যথা পাব না। ছুড়ে দিন অবসাদ নয়, আশাবাদ। প্রিয় আশাবাদ, বড়কষ্টে তোমাকে পাওয়া; গল্পবাজ আমি রূপকথা সযত্নে শোনাই। বিশ্বাস করুন, আশাবাদ- বাস্তবে রূপে-গুণে একদিন মিলবেই। নাও যদি থাকি, বলবেন সোনামনিদের, ‘রূপকথা রাজ্যটা স্বপ্নের মতো। হতে পারে রূপকথা রূপক; রূপক অলীক নয়, রূপক স্বপ্নের কথা বলে। স্বপ্নের কথা বলা রূপকথা মিথ্যা…

আকাশপটের বলাকা দুটি

রূপালি ধানক্ষেত, উড়ন্ত বলাকারা নামুক- জোনাকির মতো ওরাও নামুক ধানক্ষেতে। নুয়ে পড়া ধান, আছে তার অধিকার: বলাকার মতো ধবল, নিষ্পাপ, নির্মল, চরণ ছোঁবার। বলাকার আছে খুব বেশি ওড়বার তাড়া। নক্ষত্রেরও তাড়া আছে নিজস্ব আবাসে যাবার! কেন আকাশ শুধু, মাটি নয় কেন? মাটিও আবাস হোক সুদীর্ঘ সময়। আমাদের চোখজুড়ে আছে, আমাদের চোখজুড়ে থাক আলো-মাখা দেবশিশুগণ, তার মাঝে আকাশপটের দ্বীপ… একান্ত আপন…

ফ্রয়েডের প্রতি

মহামতি ফ্রয়েড, বেশিরভাগ মানুষই চিন্তাশক্তিকে নির্বাসনে দিয়েছেন, কেবল নির্মম শুষ্ক বিচারক তারা এখন। মহামতি আপনি, নিষিদ্ধ ইচ্ছার কথা বললেন। হ্যাঁ, অস্বীকার করি না, তবু গলা টিপে বাসনাকে রুদ্ধ করা, যায় কি? সমাজ-সংসারের নিয়মে, যা কিছু অননুমোদিত, সকলে তাকেই নিষিদ্ধ বলেই জানে । তবুও আকাঙ্খা তোমাকে কি থাকতে নেই? অপ্রাপ্তি তুমি কি সত্য নও ? অবচেতন যদি বিপরীত হয়ে, বাস্তবকে স্বপ্নে…

error: Content is protected !!