Category

সকল কবিতা

কবি তন্ময় সাহা এর সমগ্র লিখনি পেতে আমরা আছি আপনার সাথে। কবি তন্ময় সাহা রচনা সমগ্র দেখুন এবং পড়ুন।

ভালোবাসিনি

কাউকেই ভালোবাসি না আমি ভালোবাসা এখন নিষিদ্ধ পতিতা পল্লীর ভাত… কেনাবেচার হাটে তুলে পুরুষাঙ্গ পসরায় সাজিয়ে পৌরুষ, ফাঁদপাতাটাই শুধু বাকি । এ ধরনের ভালোবাসায় জন্মান্তরের ধিক্কার। কখনো সুন্দর দেখিনি, কখনো ছবি আঁকিনি ভুলের । কোনো নিশিকন্যা যেমন ছবি আঁকে না, রাত্রি জাগরণ শেষে কখনো-সখনো বয়ে নেয় পাপ অনুরূপ তোমার স্মৃতিও আমি: কখনোই ভালোবাসিনি। হেঁটে হেঁটে ঘরে ফিরি, বড্ড অনিচ্ছায়, স্বভাবে…

চলো

চলো একটু বসি, বাতাস দরকার, কিছুটা মৃদুমন্দ যদি হয়- সেই ভালো, ধুঁক চলা জীবন জ্বলছে তো জ্বলছেই। এবার ভাঁজ করে কড়কড়ে রোদে শুকোই এসো! চল একটু হাঁটি। পা গলিয়ে পাজামার মতো করে এসো জীবনকে পড়ে নিই, চলতে চলতে পথে ছায়াটুকু মিলবে যখন, তখন নাহয় একটু জিরিয়ে নেব। বলো কিছু কথা এ জীবনে কথা নেই তো ব্যথা নেই, ব্যথা নেই তো…

বন্দনা

একটি নদের বুকে অর্ধেক মানবের বাঁধা বাকিটা সঙ্গমে, মানুষের প্রয়োজনে। আঙিণায় একটি পুরুষ একজন মহান মনবী, একত্রে পূর্ণতা পাক। একটি ভ্রুণের মাঝে আগামী শপথ, একটি শিশুর আলো জোয়ার আনুক, অমানুষ গোড়ো না তুমি মা, ভিক্ষায় কর দান একজন ত্রাতা। আরো পড়ুন: ভালোবাসিনি বিজ্ঞাপন

একটা মন

একটা মন, কেউ দিলো না ধার বলেছিলাম ফিরিয়ে দেবো মনের বদল মন, থাকবো হয়ে তোমার কণ্ঠহার। একলা বসে বকুল তলে বকুল ঝরা দেখি, একলা একা, একটা কাঠাল চাঁপা, চাঁদকে বলে, “নামো মাটির পরে, তোমায় নিয়ে, স্বপ্ন-স্বপ্ন খেলি।” মাঝরাতে এক বাতাস এলো বনে, দুলিয়ে গেলো অশোক বনের পাতা, বলেছিলো বন্ধু হবো কার? একটা মন কেউ দিলো না ধার, জমাট বাঁধা রক্ত…

আর যা বলো

আর যা বলো মা বাঁচতে বলো না কাক ডাকা এক ভোরে অন্তরে সাধ জেগেছিলো হঠাৎ বজ্রপাতে দেখেছিলাম আলো। বলেছিলাম, ‘মা পৃথিবী, তোমায় ভালোবাসি।” শক্ত পাথর মাথায় রেখে বলেছিলাম মাগো “ধুলোর চাদর বিছিয়ে আমায় রেখো।” নীল আকাশের ছামিয়ানায় সবুজ তরু ঢাকো তুমি আমার লজ্জা ভূষণ হও, মাগো, তোমার ছেলে সুযোগ পেলে ঝেঁটিয়ে করে বিদায়, ইচ্ছে করে যারা, ক্ষুধার ভাতে মাটির ধুলো…

নগ্ন অনুগামী

যুবতী, আমি তোমার নগ্ন অনুগামী। প্রতিটি চলন্তিকার ডাকে থেকে থেকে এতোটা ব্যাকুল হই! ছুটে আসি দু’আঙ্গুল অধর গণ্ডির মাঝে, একেকবার বিরহ শেষে বলি কেন এলে যৌবন তুমি, এলো না মানিনী। যুবতী, কী যাদু জানো; বন্দী হই? বিষকাঁটা রোমকূপে শিহরণ জাগিয়ে পালায়। ছুঁতে হবে বলে যুবতী জানায় অভিবাদন, বলে, এসো আজ চূড়ান্ত ডুয়েট লড়ি। যুবতী, তোমার জন্য রক্ত স্রোতে সাঁতার দিতে…

শ্বেতাঙ্গীর চোখে জল

তিল তিল করে গড়ে ওঠা সুখ জ্বলে উঠলেও, সিঁড়ির তৃতীয় ধাপে তুমি ছিলে কামোন্মাদ, নির্জন দুপুর স্বাক্ষী ছিলো, আমার বাহুবন্ধনে তুমি খুঁজেছিলে হারানো সে সুখ, তৃষ্ণার্ত কামিনীর মতো। লাল পোশাকের আস্তরণে ছিল দু’হাতে প্যাঁচানো ওড়না তোমার। মোহনীয় সুন্দর ছিলে সফেদ অন্তর্বাসে। দুটো বাহু লতার মতোন পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে নিংড়ে নিতে নিতে সবটুকু রস নরম কোমর দংশন করেছিলো । তোমার গোলাপী ঠোঁট…

তুমি কি কখনো

তুমি কি এখনো পানসি বাও, উত্তাল যৌবন মেখে গায় হেঁটে যেতে থাকো পূর্ণিমা জোৎস্নায়, আগের মতো। এখনও স্বপ্ন আঁকো চোখের তারায়। ভাবো, কোন প্রেমিক সংবর্ধনায় তুমিই প্রধান অতিথি, তুমিই মধ্যমণি অনেকের পানসে জীবনে। তুমি কি রসিক-ই আছো নাকি হয়ে গেছো শেষ ধুঁকে ধুঁকে? কখনও দেখেছো কি সাকির পেয়ালায় যৌবন ক্ষত? জীবন কি চলে সরলরেখায় রোমাঞ্চে ভর করে, দিন কি যায়…

বাউন্ডুলেটা বিলাপ করেছিলো

কেউকেটা কেউ নয়, নয় মনে রাখবার মতো সবিশেষ  কেউ–তবু মনে থাকবে। প্রিয় বন্ধুর প্রাক্তন প্রেমিকা কিংবা অসাধারণ স্নিগ্ধ সুন্দরী বলে নয়, বাউন্ডুলেটা, বিলাপ করেছিলো বলে। দীর্ঘদিন ধরে ওদেরকে আমি চিনতাম–বছর বছর ব্যাপী! মেয়েটাকে তো মানাতো ভালোই– বাউন্ডুলের পাশে। নদীর পাড়, পার্কের ধার ধরে কতবার  হেঁটে গেছে ওরা। একদিন গল্পে গল্পে জানতে চেয়ছিলাম, “কি চাও তোমরা ? কি তোমাদের লক্ষ্য–যৌথ ও…

ছেলেটা বললো মেয়েটা বললো

ছেলেটা ডাকলো, “বন্ধু”। মেয়েটা বললো “না! কী করে বন্ধু হতে পারো? দেখো, আমার ওয়ারড্রফের সবগুলো ড্রয়ার সার্টিফিকেট আর পুরস্কারে ঠাঁসা; দূর থেকে সালাম দিয়েই বিদায় নাও!” ছেলেটা আবার ডাকলো, “বন্ধু”। মেয়েটা বললো, “ছো! আমি পদস্থ, তোমাকে আমি দেখেও দেখি না, তুমি আমার পাদুকা কি শিবিকাবহ হতে পারো। আমি, দু’মুঠো পয়সা ছড়িয়ে বলবো ধনিক শ্রেণী গোলাম পোষে।” বড়জোড় ম্যাডাম বলতে পারো।…

error: Content is protected !!