Category

সকল কবিতা

কবি তন্ময় সাহা এর সমগ্র লিখনি পেতে আমরা আছি আপনার সাথে। কবি তন্ময় সাহা রচনা সমগ্র দেখুন এবং পড়ুন।

আটাশ পা

সাত আসমান হাঁটি চার পায় তবু মেলে না মজুরি ‘আটাশ পা’, আমার হাল বাওয়া– জোদ্দারের ধান, আর এক পা গেলেই মিলবে মোহর! একদিন অন্ধ ষাঁড় তাকায়, হিসাবের খেরোখাতায় হালখাতার হয় প্রয়োজন। আটাশ পায়ের পদধূলি, গোধূলি এলেই হবে, সমাপন। দু’মুঠো ঘাসের জন্য বিরান মাঠ বলেছিলো, “খুঁজে নাও, তোমার জমানো খড়।” বলেছিলো মনিব, “জমা আছে হকের আমানত, জমা আছে সম্পদ।” চাই গোধূলির…

হঅ-ট যাআ

“এ্যাই, কে আছিস, নিয়ে আয় এক ছিঁটে সোনা। ছু’মন্তরে কিনে ফেলি সোনার পৃথিবীখানা। সস্তায় চিলতে সোহাগে কিনবো ওকে।” “হঅ-ট যাআ বেয়াকুফ বে আদব … সস্তার-সং সাজানো-টা, অতোটা সস্তা না।”

ছাপোষার অন্ত্যমিল

খেলা জমে রাজায় রাজায়। খেলাটা মন্ত্রীর, খেলাটা রাজার। রাজা আসে, রাজারই থাকে, রাজারাই কেবল থাকুক রাজার প্রতীক্ষায়! শেষ ঘরে সৈনিক তারও যাবার নিয়ম আছে। যদিও দেখি না তেমন, সচরাচর। কালেভদ্রে কখনও যদি পৌঁছেও যায়, তখন সে জীবন মূল্যবান -মন্ত্রীর মুক্তিপণ। রাজাদের খেলা খেলুক রাজা, খেলুক মন্ত্রী ইচ্ছেমতো। অতিরিক্ত-আমাদের ছাপোষা জীবনে কাকতালীয় অন্তঃমিল বয়ে চলে শতাব্দী-শতাব্দী। যদিও ইতিহাসে কালেভদ্রে পাওয়া যায়…

স্বপ্নালু নেকাব্বরেরা

বাপ নেকাব্বর, দিন গোনে আর গোনে পাঁজরের হাঁড়। জমি বিঘা খানি; আল বরাবর জোয়ালে আটক বুড়ো, মরোমরো, হাড় জিরজিরে প্রিয় ষাঁড়। কাঁচা-পাকা দাড়িতে নেকাব্বর বুলায় হাত। একদিন জোয়ালের ষাঁড় হবে অন্য কেউ– নেকাব্বর স্বপ্ন দেখে। প্রাচীন ষাঁড়ের শক্তি নিংড়ে নিতে নিতে, এতোদূর। জমা জাবনার কল্পনায়, ঠুলি পড়া চোখ চায় অতি আপন বুড়ো ষাঁড়দের জোড়। ছানিপড়া চোখে ষাটোর্ধ্ব নেকাব্বর তাকায়। কষ্টের…

গিন্নী

ঠাকুরদা ক’ন, “কে গো, যত্ন করে, ভাঙছো কাঁসার বাসন? দাদুভাই, কে ও, কে ও ঘরে?” আমি বললাম রাগে এবং লজ্জায়, ভীষ্ম দাদু এখন শরের শয্যায়, “কেন দাদু, চেনো নাকি? ও যে তোমার আপন ঘরের আপন নাতির বউ।” “ওই দেখো, আমি ভাবলাম পর কেউ, অহ্ নাত-বউ। এইতো সেদিন আদুরে বৌভাতে, বেড়ে দিল কত যতন ঘি, মাথার ঘোমটা খুলছিলো না সে মোটেই,…

ওম

তোমায় পড়ছে মনে শীত শীত সন্ধ্যেবেলা। শীত এলে চাই তুমি এবং উল। তুমি-তুমি জীবন আমার, কিছু-কিছু পাপ-পাপ ভুল। এখন আমার চাদর খোঁজার খায়েশ মোটে নেই। বিড়াল-বিড়াল বিকেল এখন এগিয়ে আসার আগেই, উলের চাদর যত্নে তুলে রাখি, বেজায় রকম সজাগ আমি থাকি, সন্ধ্যাবেলা খোঁজার বদল ‘না’-কে জুড়ে দেই। জানি তুমি, আমার দখল, এখন মোটে নেই। নেই তুমি তাই এইতো সুযোগ !…

ঘর ছাড়াটার ঘর

শোনো, গান শোনাবো, শোনাবো গান কোন? সাগর আমার, বন্ধু নাকি হয়! প্রাণের সুরের সঙ্গে যাবো ভেসে। আমার অনেক না-লেখা গান আছে, গাইবে? বাইবে নাকি, নৌকা আমার, অতল জলে ভাসা? ডুববে আবার ভাসবে নাকি? এবার না-হয় মেঘের আড়াল হবো। তবে না-হয় বিদায় নিয়ে এসো তেপান্তরে– মন্দ হলো এমন পিছুটান। গান শোনাবো, শোনাবো সেই গান? আমরা দু’জন কেবল পাশাপাশি, মৃদু লয়ে মন্দ…

দাঁড়াও

যেও না খেয়াল, দাঁড়াও– এক মুঠো নিয়ে যাও আলো। এখানে ভবিষ্যৎ চমকায় না, পথে পথে পড়ে থাকে হিরক-রতন। যেও না খেয়াল একা, নিয়ে যাও শাদা ছড়ি, পথে ছড়ি ছুঁড়ে ফেলো না। কুড়াও সম্বল যেখানে যতোটা পাও। যেও না খেয়াল– দাঁড়াও– দাঁড়াও।

পেলাম কেবলই আমি

হ্যাঁ, একমাত্র আমিই পেরেছি… লক্ষ লক্ষ আলোকবর্ষ ধরে পার হয়ে অসংখ্য এন্ড্রোমিডা, ছিনিয়ে এনেছি একমাত্র আমিই… । পুরনো আমলে ফায়ার প্লেসের কাঠ ছিলাম, একদিন দাও-দাও করে ফুঁসে উঠল আগুন, বিকৃত হাত, পা, মাথা, হৃদয়– ঠেলে দিলাম। চটপট করে ফুটে গন্ধ ছুটলো দিক্বিদিক, ঘরমাত্র জ্বলেনি, আমিও পেয়েছি পুরস্কার। অবশ্যই ব্যক্তিত্ব পুড়েছে, অবশ্যই ভালোবাসা হয়েছে ভষ্ম, অবশ্যই ইচ্ছেও মিছেমিছি মরেনি…। পুরস্কার আমায়…

ভালোবাসো কেকা?

কেকা, মেঘ, তোমায় বড় ভালোবাসে, নাহ্। ভালোবাসা পেতে কেমন লাগে, কেকা ? কত সুখ ভালোবাসার, আমাকে জানতে দেবে ? তোমরা বাসবে ভালো, আমি না-হয় ভালোবাসার বন্ধু হয়ে ছুটে চলা স্রোতে গা ভাসাবো। তুমি কি একা হয়ে যাও কেকা, মেঘ আড়াল হলে। নাকি মেঘের কথা-ই, তোমায় কখনও দেয় না একলা হতে। আমার যে কেবলই একা লাগে, মহাশ্মশানে অমাবশ্যা নামে। আমায় একটু…

error: Content is protected !!