পৃথিবীর সবকিছু অতীত হলেও: তুমি থাকো। সাগর-তীরে কিছু মানুষ আছে সাগরের সাথে পোষে আজন্ম শত্রুতা; তাদেরও তুমিই থাকো।
কবি তন্ময় সাহা এর সমগ্র লিখনি পেতে আমরা আছি আপনার সাথে। কবি তন্ময় সাহা রচনা সমগ্র দেখুন এবং পড়ুন।
পৃথিবীর সবকিছু অতীত হলেও: তুমি থাকো। সাগর-তীরে কিছু মানুষ আছে সাগরের সাথে পোষে আজন্ম শত্রুতা; তাদেরও তুমিই থাকো।
হতাম যদি সত্যি সত্যি বন্য! বন্য হলে, সত্যি সত্যি দেখতে যেতে তুমি; উপড়ে নিয়ে দু’হাত দিয়ে ছিঁড়তে না-হয় পাতা– যেতাম না-হয় পৌঁছে মৃত্যু কূলে। ছাড়িয়ে যেতাম পিঠের মতোন সমান সমভূমি; বন্য হলে দেখতে যেতে সত্যি সত্যি– তুমি।
তুমি আসলে তবেই না যুদ্ধ হবে। সাহারার ধু-ধু প্রান্তরে আমাজানের গহীন অরণ্যে অথবা শীতল এন্টার্টিকায়। হবে এক আলোচিত দ্বন্দ্বযুদ্ধ। দেখো, রণ বেশে সাঁজোয়া আমি বসে আছি তোমার অপেক্ষায়। তুমি কথা দিয়েছিলে পরাজয়ের আনন্দ এনে দেবে। কিছু কিছু যুদ্ধ থাকে হেরে যেতে হয়, কিছু কিছু মৃত্যু থাকে, শবেই শান্তি, না মরে বাঁচাতেই ভয়, জীবন অভিশপ্ত। এলে তুমি শেষ ছন্দের ইচ্ছে পূরণ…
তোমায় পড়েছে মনে, মন তাই হঠাৎ উদাস। হঠাৎ ধানের ক্ষেতে দু’কদম যেতে যেতে ডেকে বলে মিষ্টি বাতাস, “ডাকো তাকে সে আসুক, খেলি লুকোচুরি।” বললাম, “জানো না কী! আজ থেকে আসবে না আর, বয়স যে পেরিয়েছে ‘গোলাপ কুড়ি’।”
কষ্টে কষ্টে কাকতাড়ুয়া মন পাহারা দেয়, পাকা ধান তুলতে ঘরে হরেক রকম বাধা, একটা কোকিল ধান খেয়ে যায় রোজ। বসে, কাকতাড়ুয়ার হাতে এবং মাথায়। হঠাৎ কোন বন্ধু নিয়ে সাথে, কাকতাড়ুয়ার মাথায় করে ফুটো, মন পাহারা দেয়, ঘর ভাঙে রোজ।
তোমার খেয়ালি মন যদি দেয় সাড়া, মনে হয় দাঁড়াবার মাটি হয়ে, বট হয়ে, কোথাও কেউ আছে, করো না একটুও দেরি, উড়ুক্কু পায়রা আমার। চলে এসো ডানা মেলে আমি আছি অপেক্ষায়।
কোনো কোনো ‘দিন’ কাটতে কাটতে, রাত্রি-ই মরে যায়। কোনো কোনো দিন আসতে না আসতেই জাগে প্রাণ, কোনো কোনো দিন আসে–বাঁচাতে। মানুষগুলো আকাশ মাটি, দিনগুলো হোক খাঁটি। অনেক আশায় দিনগুলো আসে। দিনের খোঁজে-ই দিনগুলোকে ঘাঁটি। অনেক সুখের যেদিন বাঁচায় মন, সে’দিনগুলো মন তো মনে রাখবে-ই। রাখবে বলে স্মৃতির অ্যালবামে, কোনো কোনো দিনে তুমি নতুন করে সাজবেই। কোনো কোনো দিন, আমাদের জন্য…
আমাকে ধাক্কা দিয়েই ঢুকতে হয়। একদা ভেবেছিলাম যারা আসবে সুবোধ বালকের মতো তাদেরকে সম্ভাষণ করে বলবো, “আপনি সাদরে আমন্ত্রিত।” না, কাউকেই বলতে হয়নি কিছু, আমাকেও সরে যেতে হয়নি কষ্ট করে, ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে ওরাই। কেউ-কেউ আসে প্রতিদিন। নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময়ে ভেতরে ঢোকে, কেনাকাটা শেষে দু’হাত বোঝাই করে বাড়ি ফেরে। কতোদিন ভেবেছি, দীর্ঘশ্বাস নেয়া ব্যস্ত মানুষের মতো হলেও একবার…
এক বুক কষ্ট নিয়ে ঘুমিয়েছিলো ছেলেটা, স্বপ্নে স্বপ্নে হয়েছিলো কষ্টের প্রতিফলন। ঠোঁট দু’টো কেঁপে উঠেছিলো। থুতনির খোঁচা খোঁচা দাড়ি, কেঁপে উঠেছিলো, কপাল কুঞ্চিত হয়ে, চক্ষু মুদ্রিত হয়ে, নিদৃত হৃদয়ে আঘাত করেছিলো নিরব কষ্টস্রোত। এনেছিলো ঘুমন্ত চোখে পুরুষালী অশ্রু বিশেষ। খুব বেশি ভালোবাসতে নেই। খুব বেশি হাসতে নেই। খুব বেশি আঁকড়ে ধরতে নেই । খুব বেশি মনে করতে নেই । অফুরন্ত…
আরও এক হলো অবসান! শুধু অপেক্ষা প্রসস্ত নয়… শোনো নীড়, যদি বীর যাও যুদ্ধক্ষেত্র দিয়ে বলে দিও আমিও অপেক্ষায় আছি শুদ্ধ হবো বলে…!