নগরে নগরে ঘুরে, এনেছি, সংবাদ। তোরা ভালো আছিস। চরণে চরণে চেয়ে, করপুটে এনেছি, আশীর্বাদ। যারা আছে ভালো, তারা ভালো থাক।
কবি তন্ময় সাহা এর সমগ্র লিখনি পেতে আমরা আছি আপনার সাথে। কবি তন্ময় সাহা রচনা সমগ্র দেখুন এবং পড়ুন।
নগরে নগরে ঘুরে, এনেছি, সংবাদ। তোরা ভালো আছিস। চরণে চরণে চেয়ে, করপুটে এনেছি, আশীর্বাদ। যারা আছে ভালো, তারা ভালো থাক।
আমরা স্বপ্ন দেখতে জানি না। স্বপ্ন কলামে হাজারটা বানান, ভুল। ঘুমন্ত চোখে অন্তহীন স্বপ্ন, কালো- কালো রঙে আড়াল সোনালী রোদ্দুর।
দিনটা তোমার জন্য, রাত্রিটা আমাদের। জাঁকজমকের ভিড়ে, লাল রঙা শাড়িতে আলতা পায়ে, গোলাপী রঙিন ঠোঁটে আমাদেরই কথা বলো। অভিনন্দিত ভাষা আমজনতা খুঁজে পায় না কখনোই । তবু, আমি অপেক্ষায় থাকি, পিছু ফিরি ফের। আজন্ম লালন করা যুবক যুবক তৃষ্ণা তাড়িয়ে নিয়ে যায়, অন্ধকারের উষ্ণতায় একাকী দিবস জাগে বভুক্ষু সহীস। তুমি ঘোটকী হতেই, পিঠে চাপতেই, সময় চাবুক চালাবে। তুমি ক্ষতবিক্ষত, আদুরে…
অপেক্ষা! অপেক্ষা শুধু, রাত্রি রয়েছে অপেক্ষায় একটি সকালের জন্য। শিশিরের তৃষ্ণায়– উঠোন, উঠোনের জন্য অপেক্ষায় আছে এক চিলতে রোদ্দুর। পথ চায় কাঠফাটা রোদ, কখনো বা ছায়ার স্বপন; সীমাহীন, অনন্ত, অসীম, অপেক্ষা, সফর এবং একাকিত্বের অবসান হবে, অপেক্ষার হবে ইতি, যদি রাত্রি মেশে সকালের গায়, শিশির হারিয়ে যায়; তৃষ্ণার্ত উঠোন রোদ্দুর নিয়ে খেলে ছোঁয়াছুয়ি খেলা। ছায়ার বুকে সূর্য মেশানো স্পর্শ, স্মৃতিচারণে…
অপমৃত্যুর বিষল্যকরবী, ধরে আছে গন্ধমাদন। মাদকতা মরে গেছে… সময় পেরুতে পেরুতে অকালে বৃদ্ধস্য যৌবন? পদস্খলন; জীবনের মেরুতে মেরুতে। কে জানে, শিখিয়ে গেছে কী! কতো বিদগ্ধজন করেনি আপন তুমি কি পারবে শর্বরী? আমি যে ভালোবাসতে শিখিনি।
বিতর্ক তুলবো না, সুন্দর বেশি কে, আমাদের ফণীমনসা নাকি তোমাদের ক্যাকটাস। কালের আবর্তে আজ অতিথি আপন হয়ে গেছে। একবারও বলবো না আপন বেশি কে, আমাদের কদম নাকি তোমাদের রডোডেনড্রন। কালের আবর্তে স্বপ্নেরও মতিগতি কোকিল থেকে অষ্ট্রিচ পৌঁছেছে।
আকাশজুড়ে মেঘ করেছে সূর্য গেল কই, মনের মাঝে ঝড় উঠেছে দুঃখে থৈ থৈ। দ্বন্দ্ব দোলে দোলনা হয়ে পলক পড়ে পড়ে চোখের ভাষায় কিসের আশায় বৃষ্টি ক’ফোঁট ঝড়ে? আকাশজুড়ে মেঘ করেছে মেঘের মাঝে আলো কবে হেলেন বলেছিলো তোমায় বাসি ভালো? সব শবেদের এক ঠিকানা তীরন্দাজের সই আকাশজুড়ে মেঘ করেছে কথার বাড়ি কই? সাগর দেখে ডুবতে এসে নিলাম নিমন্ত্রণ, সব পেয়েছির দেশে…
কেন, মনে হয় আমি ভাসমান কোনো নাবিকের সাথী যেন? লবণ লবণ গন্ধে, হঠাৎ জাহাজ বন্ধে, সাগর দ্বীপের মাঝে যে কোনো এক প্রান্তে, অনভ্যাসে ভাসতে যেয়ে হারিয়ে দিশা লবণ নেশা আমায় কেন চেনো? কেন? মণিও নয় মাণিক্য নয় একটুখানি পাতাল বিজয় হন্যে হয়ে খোঁজো। তালপাতাদের গল্প কিছু অল্প হলে চলে দু’চোখ খুলে পাই না যাকে, পাবো দু’চোখ বুঁজে– এমন কথাও মানো?…
আলাপ চলে ঠোঁটে ঠোঁটে, সময় পেরোয় মোহে, ঘামের বিন্দু শরীর মাখে ধীরে। বিলাপ করে কাঁদতে থাকে অতীত, একাকিত্বের বীজ ঘুন ধরে যায় চিরে, উচ্চারণে স্বজন ভোলে সুর। সতীচ্ছেদে ফাটল ধরে, নীলাভ রঙের পর্দা, আগুন নেভায় আগন্তুকে এত্তবড় স্পর্ধা! সংস্কারের প্রলেপ ভুলে শ্মশান ওঠে দুলে। মেঘে মেঘে বেলা হলে কেন তুমি আসবে না সব ঠোঁটে ? কোন কারণে, শিল্প ভেবে শিল্পী…
অন্ধ চোখে বন্দী শিবির ঘরের মাঝে ঘর, কোথায় যেন দেখেছিলাম… আলোর মাঝে পর। জ্যোতির মাঝে জ্যোতির্ময়ের পুতুল পুতুল খেলা, হারিয়ে ফেলে খঁজেও পেলে আবার অবহেলা! এসো প্রতীম ভুলে যেয়ে আদি থেকে অন্ত মনের মাঝে পুষে রাখা বেকার ষড়যন্ত্র, আলোর খোঁজে চক্ষুবঁজে বলছো আমি অন্ধ আমার জন্য জ্যোতির্ময়ের সকল দুয়ার বন্ধ! কেমন কথা? হিমালয়ের বরফ গলে, গলতে গলতে জল জলের মাঝে…