Category

সকল কবিতা

কবি তন্ময় সাহা এর সমগ্র লিখনি পেতে আমরা আছি আপনার সাথে। কবি তন্ময় সাহা রচনা সমগ্র দেখুন এবং পড়ুন।

কবি অমল, কী-বুঝে পাগল হলো

অমলটা কবি বলে, তাকে আজ আসতে বারণ করে দিলাম। ওর বলা কথার বেশিরভাগই বুঝি না আমি। ওর লেখা কবিতার মতো মানুষেরও নাকি নানান পরিচয়! বক্তব্যেও নাকি আছে কবিতার মতো দ্যোতনা, ব্যঞ্জনা, গভীরতা এইসব হাবিজাবি! দায় ঠেকেছে! অভিধান খুলে, তোর লেখা কবিতাগুলো বুঝতে। বোধ-টোধ, হিজিবিজি কী-কী নাকি আছে কবিতায়! কবিতা নামের এক ক্লাসমেট ছিল, একই রকম ভূত ছিল ওর-ও মাথায়। ভূত…

কলসি ভিজবে জলে

ফুলতো কতই কিনলাম! গোলাপ, রজনীগন্ধা… পোশাকি ফুলের তোড়া কিনেছি কতই! ফুল কিনি এখনো: ফুলকপি, পেঁয়াজের-কলি, কলারমোচা আথবা কুমড়োর… একটু দাঁড়াও, কথাগুলো সাজিয়ে নিই; কলসি ভিজবে জলে বাজিয়ে নিই। একটু জিরোও। আরো জানুন: আর তুমি পা রেখো না বিজ্ঞাপন

আর তুমি পা রেখো না

ডায়াসে, অনেকেই রমণী হলেন, অনেকেই নারী হলেন। অনেকেই পোড়া ট্রয় পোড়াতে আবার, হেলেন হলেন। কেউ কেউ নতুন নতুন মাদাম কুরি, ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল, নতুন মাদার তেরেসাও হলেন! আজ এই অফুরান বক্তৃতার উদার ডায়াসে দাঁড়িয়ে! গড়াগড়ি গেল কতশত স্বাধীন ভাষণ, গড়াগড়ি গেল কত বিদ্রোহ; বীরাঙ্গনার কাছে শিখে স্বাধীনতা; কতজন পারলেন নতুন কাঁকন বিবি হতে? তবু শাপ দেয়া বন্ধ হোক। জানুন, আমিও শোষিত,…

ঘ্রাণ

স্বাধীনতা মানে স্বদেশের বুকে সুযোগ্য সন্তান; স্বাধীনতা মানে প্রাণ। স্বাধীনতা মানে বুকে তার শহীদের স্বপ্নের ঘ্রাণ। আরো জানুন: স্বাধীকার বিজ্ঞাপন

স্বাধীকার

তোকে তোর আকাশটাকে দিলাম; উড়বি। অনভ্যাসে জড়সড়ো ডানা বিরাট করে মেলে- মানার ঘরে না লিখে দে তুই। কেবল আকাশ কেন? জলে-স্থলে সবটুকু আজ তোর। তোরই হবে রাত্রি, দুপুর, আগুনরাঙা ভোর। তার আগে পাঠ খুব শিখে নিস স্বাধিকারের মানে, পাখিও জানে মাছও জানে, মানুষ কি তা জানে! আরো জানুন: ঘ্রাণ বিজ্ঞাপন

আমাকে অষ্টাবক্র বলে

দুপুর রাত্রি হলে এল, পথিক কুড়িয়ে পেল অশ্বের ডিম; অশ্বত্থের ছায়ায় বসে তার আর হলো না বিশ্রাম। সাগরের ঢেউয়ে আজ সময়ের ঢেউ লেগে গেছে। কারো কারো সমুদ্রে আছে ভাটায় টানার নিয়ম; জোয়ার তারে দিলো না ফিরায়ে কেউ। জ্বলে ওঠো ভিসুভিয়াস: আমি আজ ধরাবো হুকোর টিকে। মুখ পোড়া গন্ধ ঢেকে দেবো পুড়িয়ে ফুসফুস। সরাসরি পান করা যায় এমন সেঁকো বিষ দাও;…

পরিত্রাণ

আশ্চর্য জড়বৎ প্রতিধ্বনি! ডিঙিয়ে পাহাড় শব্দ কি নাদব্রহ্ম আকাশে সাঁতার সাঁতার খেলে! কে এমন: ত্রিতাপ জ্বালায়, দুঃখে, অনলে না জ্বলেন; না পোড়েন রোগে কি জ্বরাগ্নিতে; না কাঁপেন প্রতিকূল ঝড়ে; মৃত্যুর মুখোমুখি নন? বিধাতা প্রতিধ্বনিত হলে হিরণ্যগর্ভে প্রাণের উদয়, পিন্ডের জীবন হয় মানুষের মতো। বিধাতা প্রতিধ্বনিত হলে তবেই প্রেম। নতুবা প্রেম প্রেম নয়, দুঃসাহস। নতুবা মৃত্যুও মৃত্যু নয়, ধ্বংস। জন্ম পুনরায়, মরণ…

নিকষা নিপাত

কালো যুগ হয়েছে কি শেষ! নিকষা কি নিপাত গেছে? নিকষা নিপাত যাক, ‘নিষ্কৃতি’ পাক: যাই-ই ঘটুক, ‘নিকষার বাণী’ সে কি যুগের বিবেচ্য নয়? দৃঢ় না থলথলে দেহ, হাড় নাকি পেশি, খাটো নাকি লম্বা, নাকি সে নারী-ই তাও নাকি জানা নেই কারো! তবুও নিকষা রাজমাতা যুগে যুগে! ভাবো, ‘কী এমন বোধ বারে বারে ডুবছে নিকষ অন্ধকারে!’ কী লাভ! কী লাভ বাদ-অনুবাদে?…

ছুঁয়ে দেখো রূপকথা

কি দেখো অলম্বুষ? যুদ্ধ, নাকি পুলকিত নারী-দেহ! ছুঁয়ে রূপকথা কি চাও সোনালি ইঁদুর তুমি? পেলে কি-বিজয় সুখ, রাজসূয় যজ্ঞে নেমে? অলম্বুষ, অলম্বুষ… অলম্বুষ রাক্ষস ছিল! যুগপৎ লোভ-ক্ষোভ, ক্ষমা ও মৃত্যু: সে প্রতিবার কেন-ই-বা চায়? অলম্বুষ, সাদা চাখে কেন প্রেম দেখো ? কী পেলে কুরুক্ষেত্রে থেমে? যক্ষের মতো আগলে রাখো; যুদ্ধ কি না খাওয়া আপেল! স্বেচ্ছায় স্তন্যপায়ী শিশু, স্ত্রৈণ নাগরও হতে…

ধ্যানমগ্ন জীবনের সৌরভ

নিস্তব্ধ রাত্রির খোলসখানি ভেঙ্গে জোয়ারের পর্বতমালা আঁধারের গ্রাস হয়ে গেছে। পৃথিবীর আঁধার থেকে উত্থিত জীবন রক্ত সাগরে নামে অজেয় মহিমায়! নদীরা পাদস্পর্শে ছোটে, স্তন বরাবর কুয়াশায় ঢাকা তার মাথা জেগে আছে পৃথিবী ফুঁড়ে! উন্নত যারা তারা বলেছিলেন বজ্রনিনাদের মতো কণ্ঠস্বরে; সমুল আন্দোলন! এরই জন্য কি? এমনই কিছু পূর্বজ রাতে! বাতাস পূর্বমুখী। দখিনে ফেরাবে মুখ! নাকের গহ্বরে ভিড় করে দুর্গন্ধ শবের।…

error: Content is protected !!