Category

সকল কবিতা

কবি তন্ময় সাহা এর সমগ্র লিখনি পেতে আমরা আছি আপনার সাথে। কবি তন্ময় সাহা রচনা সমগ্র দেখুন এবং পড়ুন।

কলিজা, মগজ, চামড়া

খেতে বসলেই, বাচ্চাদের আব্দারের শেষ থাকে না। সাধারণত বাচ্চাদের মধ্যে সেই বাচ্চাটাই মুরগীর মগজটা, কলিজাটা খাওয়ার বায়না ধরে, যেটা খুব ভালো করেই জানে, আজ মগজ কী কলিজা কোনোটাই রান্না হয়নি। -মগজ কই, মগজ খাবো। -মগজ নেই, মগজ ফ্রিজে। বাচ্চারা শুধু মগজ খায়। বড়রা মাথা মগজ একসাথে খায়। বাচ্চারা শক্ত হাড় চিবাতে পারে না, বড়রা শক্ত হাড় অনায়াসে চিবাতে পারেন। -না…

পূর্ণ সত্য

জীবনের কোনো হিসাব আর অপূর্ণ নেই। অচঞ্চল, শ্বেতকায় পর্দার মতো যে জীবন, তারও হিসাব থাকে, সেও তো পূর্ণ নয়! ভাগফল, ভাগশেষ শূন্য। ভাজ্যটা অলীক শুধু । জীবনকে শূণ্যতা দিয়ে ভাগ করা, শূণ্যতাকে জীবনের সাথে জুড়ে দেওয়া যেমন জোড়নে বাঁধে জোয়ান। এমন পূর্ণতার ইতিহাস: সে তো বড়ই বিরল! অর্ধমৃত কেউ পৌঁছেনা বিধাতার কাছে; সুখীরাই পৌঁছুতে পারে! একদা তো পিতার কাছেও- প্রশ্ন…

হয়তো এতোক্ষণে

হয়তো এতোক্ষণে খুব জোর বৃষ্টির পর আবারো মেঘময়ী- আকাশকে ছুঁয়ে আছে- ওইখানে কতোশত তারাদের মাঝে, সপ্তর্শীম-লের সবচেয়ে বুড়ো তারাটার নাতনি হয়েছো হয়তো! হয়তোবা, তার সাথে পার্বণের মেলায় ঝুলি আর বর্শা হাতে তুমি নেচে বেড়াচ্ছো পথে আর প্রান্তরে। কাশফুলের পাঁপড়িরা উড়ে গেলে বৈশাখী ঝড়ে তুমি ভাবো তোমার খোঁজে আমিও বুঝি ছুটে-ই যাবো! কতো পথ পাড়ি দিয়ে, কতো গাছে, কতো ছাদে ঠেকে…

অদ্ভুতুরে মিল

গানও আকাশ ছোঁয়, সুবিশাল আকাশের তলে গান, গানের আকাশ, ধরা-ছোঁয়া যায় না দু’টোই। তবে তো মিথ্যে বলেনি মন। জানা মন, সবজান্তা তুমি যা-ই বল, ছন্দ হয়ে যায়। অন্ধকারে অন্ধ ও মন গন্ধ নাকি পাওনা তুমি, আকাশনীলার নীলের? কবিতাও বৃষ্টি হয়ে যায়, একই রকম ঝড়ে কলম এবং নীলাম্বরীর চোখে। মিথ্যে বলেনি মন, জানা মন, সবজান্তা তুমি, যা বল তাই দ্বন্দ্ব রেখে…

উন্মাদের গল্প টেবিলের বই জানে

চায়ের কাপ, পড়ার টেবিল ঘিরে যে জগৎ তার মাঝে ষোড়শীর হাসি নেই। শ্মশান ঘাটে ষোড়শীর চিতা জ্বলে উড়ন্ত জ্ঞানের শিখা বুক তার পোড়াবে কি শেষে ? বই, টেবিল, বেমানান পড়ুয়া প্রেমিক অথবা ষোড়শীও সকলের জন্য নয়। উন্মাদের গল্প টেবিলের বই জানে, জানে না হৃদয় তার পড়ে থাকে কোনখানে…। আরও পড়ুন – >>> একসাথে, একই ব্যথা পাবো

তুমি, আমি এবং তিনি

কিছুক্ষণ আগে মৃণালিনী প্রদীপ জ্বেলেছে। জ্বলন্ত প্রদীপের শিখা, তিরতির তিরতির কাঁপে, জ্যোৎস্নার সাথে কাঁপে সোনারাত, এখানে তুমি আছো আমি আছি। বেশ দূরে হিমালয়, দু’চারটে পাথরে সাজানো নয়। আমাদের সাজানো ইলেক্ট্রনিক ভালোবাসা, হিমালয় ওর মতো নয়। এ আমার অবরুদ্ধ দ্বার, অধিকার সনদে লেখা আমারই নাম। কিছুক্ষণ আগে বাসরের ঘণ্টা বেজেছে এইমাত্র দুই প্রাণ এক হবার ঘণ্টা বাজালো সে, তার কোন অধিকার…

আমি আসবো না

অদ্ভুত সুন্দরী তুমি, হঠাৎ ছুরিতে কাঁচিতে, খেলা করো। ময়দানে নয়, জনসভায় নয়, মনে মনে! অবারিত বাক্যবাণে অনর্গল ধারাভাষ্য দাও, কেন করো অসহ্য প্রেমের এমন ক্যানভাস? সূচিকর্ম, ডোমের কারুকাজ বিবর্ণ যেনো ! জীবনের পথ নাকি চলেছে সবাই, তবু- কেন কেউ একাল আর সেকাল চেনে না! তুমি চেনো ? চেনো তুমি, হ্যাঁ? তবে আর কী ভাষ্য দেবে, মঞ্চে দাঁড়িয়ে একা ? আমার…

মনি’দা মরে গেলো

পারুল বলল, “দাদা, মনি’দা নেই।” “কোথায় গেছে মনি’দা: ঢাকা, কোলকাতা নাকি প্যারিস?” “সে কথা নয় দাদা, মনি’দা আর নেই!” চোখ তুলে তাকালাম। মনি’দা আমাদের মনি’দা, যার মুখে গল্প না শুনলে ঘুম আসতো না, গান না শুনলে চাঁদমাখা রাত ফ্যাকাশে মনে হতো, যার জামরুল ডালের শাসন না হলে হয়তো আমাদের পড়াশুনো শিকেয় তোলা থাকতো আজও, মনি’দা আমাদের সেই মনি’দা, আর নেই!…

সাদা সাঁড়সের ভাঙে ডানা

প্রভাতের চোখে জল; সেকি দুঃখে কেবল! মোহে বা মুগ্ধতায়, দৃষ্টির দ্রোহে, সুখের ক্লান্তিতে সেও এমনই সময়ের সুতীব্র স্রোতে, চোখে চোখ রেখে, প্রভাতের চোখ যদি জলে ভরে যায়, ভুল বুঝো না। পাছে চলে যেতে বলে সাঁড়সের ডানা। অজেয় বিদায়… অথবা প্রভাতী রাগ আর না বাজে। মেনে নিতে নিতে, প্রভাতেই জোড়া চোখ ভাসে যদি বন্যায়, ভুল বুঝো না। তার চেয়ে ঢের ভালো,…

হৃদয়ের যত্ন নিন

দুঃখিত, মুখোমুখি প্রেমের গল্প শোনাতে পারছি না। এখন মুখোমুখি শুধুই ডাল—ভাত … ভুলে গেছি অন্তরঙ্গ সংলাপ। কেবল জীবনের জন্য হে আমার অবাধ্য মন জেনে নাও, “জীবন যেখানে যখন যেমন”। ভালোবাসার কেবল “রোটি, কাপড়া, মাকান”। মানুষকে ভালোবাসে পাগলে! কারো কারো স্বপ্ন থাকে নীড় বলে থাকে কিছু শুনেছি ফেরবার তাড়াও নাকি থাকে! সকালের নরম রোদ সেই যে নিয়ে গেল যাকে, গোধূলির লালচে…

error: Content is protected !!