Category

সকল কবিতা

কবি তন্ময় সাহা এর সমগ্র লিখনি পেতে আমরা আছি আপনার সাথে। কবি তন্ময় সাহা রচনা সমগ্র দেখুন এবং পড়ুন।

প্রাণ ছুঁয়ে যাক

বকুল বর্ষা হোক তোমার খোঁপায়। বয়সী ফুলের মালা হোক বাসি জেগে থাকা রাতে। ফেরাবার তাড়া থাক প্রভাতের আগে। অহনার অজ্ঞাতে কালের করাল স্রোতে কারো কারো নেশা থাক নীড় হারাবার। কারো নামে এলোচুল বাঁধা থাক ফুলের ফিতায়। দিকে দিকে প্রভাতের লাল আলো আভা হোক। কোনো এক রাতের গভীরে প্রাণ-খুলে ছুঁয়ে যাক প্রাণ। হাসিমুখে হাতে হাতে বিরহী উঠান বাসরের পথ এঁকে দিক।…

কবি প্রেমত্রয়ী

(১) সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন স্মরণ দিবসের নতুন নামটি আপনারা দিয়েছেন; কেউই বলে দেননি আমি কাকে ভালোবাসব! কীভাবে ভালোবাসব, কেন ভালোবাসব? (২) সে আমার ফল্গুধারার জল, স্বরস্বতী নদী, অমর মহাকাব্যে কথকের মতো অবিকল রক্তস্রোতে মিশে থাকা রক্তরস। ওর কোনো রূপ আছে রঙ আছে-জানি না আমিও। (৩) যারা কবিতা ভালোবাসে না, আমি তাদের নই। যারা কবিতা নয় তারা আমার নয়। অপ্রেমিকে যুগল হয়…

বিষন্ন গোহালে

নিবেদিত প্রেম নেই বিষন্ন গোহালে। ‘শুভক্ষণে অনায়াস তৃণভোজী প্রেম’, সে খাতেও নরবলি নেয়া হতে পারে! এ বিষম বিষন্নতার যুগ: তুমি আমি কারো কেউ নই! আমাদের রূপ নেই, কায়া নেই, প্রাকৃতিক ছায়া নেই, মায়া সেও মরেছে মৃতের! অপরূপ যুবকের প্রেমে যে যুবতী মরেছে বারংবার, তাকে আর বোঝাবার ভাষা নেই! যে যুবক থিতু হতে খুঁজেছিল প্রেম, আজ তার বাঁচবার আশা নেই! এছাড়াও…

জলের মায়ায়

ঋষিকুল এবং আমজনতা; রায়ে অথবা ভালোবাসায় নদীকে ‘মা’ বললেন। সুজলা সুফলা দেশ নদীমাতৃক হলো। স্বদেশ আগে নদী-বিধৌত ছিল। মা চিরদিন নদী ছিলেন; নদী চিরদিন মা ছিলেন; মা নদী ডুবেছেন জলের মায়ায়। এছাড়াও দেখুন: বিষন্ন গোহালে বিজ্ঞাপন

মনে জুজুর মনকষাকষি

রানওয়ে আপলোড হচ্ছে ইচ্ছেমতো; বুঝি আর প্রেম নেই! ব্যক্তিগণ ট্র্যাকেও দৌড়ানো হচ্ছে না ইদানীং। জগৎ জুড়ে ট্র্যাক; সামনে ম্যারাথন। মনে জুজুর মনকষাকষি! এছাড়াও দেখুন: জলের মায়ায় বিজ্ঞাপন

মেঘদূত

মুক্তি নয় যক্ষের জন্য পৌঁছে দিয়ো মেঘ; মেঘ প্রেমদূত হবে। নিয়মিত সরোবর হতে শতপদ্ম তুলে অনুগণ পুরোহিত দিয়েছেন দেবতার পায়। দেবতা কি সত্যিই রুষ্ট ছিলেন, একদিন একটি পুষ্প কম তিনি পেয়েছেন বলে? অথচ যক্ষের প্রেমিকা হবার দায়ে, একটি মাত্র ফুল পদ্মিনী পেতে পারে না? কেন ছিটেফোঁটা মধু পিঁপড়ে খেলেই জাত যায়? সেবক তো নিত্য নৈবেদ্য ভিক্ষা পায়। বলুন প্রিয় পুরোহিত,…

বিরূপাক্ষ স্রোতে কুশলী রন্ধন

মোহ মানে রাজা-প্রজা সহৃদয় মেলামেশা; মায়াবী সাধুর সুগন্ধি মিশ্রণ। মিলনের উপযোগী নন্দিত পরী- স্বস্তির বাসা হোক মিলন বাসরে। অন্ন মিলনমেলায় আপন আবেগী ক্ষুধা পূর্ণ তৃপ্তিতে ভাসুক; স্বাস্থ্যের জয় হোক। রান্না তো আর্ট, কুশলতাপ্রিয় কুটির-শিল্প এক; মোহিনীর নিপুণ কারুকাজ মোহময়ী মায়াময়। প্রিয় ফল কদাকার নয়, যেনতেন নয়। নন্দিত তুমি নাও যদি হও, নিন্দিত নও। নও বিদ্রুপ, তাচ্ছিল্য নও, নও বাজে কোনো…

তেঁতুল ফুল

কারো কারো দেখা হোক যুগ যুগ পর। মনের গহনে ততোদিন জমা হতে থাক প্রিয়-প্রিয় শব্দের গুচ্ছ; খবরের আগমনী খবর। ততদিন তেঁতুল বাগান বাড়ুক ধীরে। তেঁতুলের ফুল কিছু মনের গভীরে আছে। ওরাও ফুটুক। যতক্ষণ দুরত্ব আছে ততক্ষণ দুরন্ত প্রেম; যতক্ষণ আড়াল, অপেক্ষা ততক্ষণ! তেঁতুলের নিষিক্ত ফুল তোমাকে তো তেঁতুলই দেবে। ‘সকলেই তেঁতুল ভালোবাসে’, মুখফুটে কীভাবে তা বলি! এছাড়াও দেখুন: বিরূপাক্ষ স্রোতে…

ঝড়ো হালখাতা

আজ নাকি ঝড়ো হালখাতা? এইবেলা তুমি আমি মুখোমুখি পান্থশালায়- আছে ঋণ। ঋণ আছে। পৃথিবীর কাছে আমি আমৃত্যু দেনাদার। ভালোবাসা কোনো পলাশীর প্রান্তর নয়। মরুভূমি বুক নয়; নয় হাহাকার। ভালোবাসা; বিশ্বাস। ভালোবাসা মানে- আমি আছি ভয় নেই- আসুক না বৈশাখী ঝড়। আছে কোনো একান্ত আপন বুক, খোলা প্রান্তর? বলে দিতে পারে প্রিয় পৃথিবীতে- মরার আগেই মরা গোপনীয় নয়; নয় অধিকার- আবৃত-…

রোস্ট

নিরপেক্ষ হাতেরা সুস্বাদু খাবার খোঁজেন। বালিহাঁস জড়িয়ে ছিল জালে। দুঃসংবাদ! আকাশে ফেরাতে বালিহাঁস হাতগুলি নিখোঁজ, রক্তবর্ণ, পাংশু হলো। সুসংবাদ! যারা যারা নীতি নিরপেক্ষ দর্শক ছিলেন, তাদের কেউই হাততালি দেননি। (যদিও হাতগুলি পকেটেই রাখা ছিল!) নিরপেক্ষ হাতেরা নিরাপদ পকেট খোঁজেন। আদতেই ব্যাধ এবং নিপাট ভদ্রলোকেরা নিরীহ ও নিরপেক্ষ হয়ে থাকেন! আসলেই ব্যাধ এবং নিপাট ভদ্রলোকেরা প্রীতি নিরপেক্ষ ছিলেন; শুধু তাদের পরস্পরের…

error: Content is protected !!