Category

সকল কবিতা

কবি তন্ময় সাহা এর সমগ্র লিখনি পেতে আমরা আছি আপনার সাথে। কবি তন্ময় সাহা রচনা সমগ্র দেখুন এবং পড়ুন।

লহ্মীন্দর বেহুলা খোঁজে

এখনো মঙ্গল হয় মনসার বিষে; মৃত্যু দুয়ার খোলে অবেলায়। এখনো লহ্মীন্দর বেহুলাকে খোঁজে। ‘নিশ্ছিদ্র  বাসরে কড়ে আঙুলের ছেঁদা’, ‘জীবনের কাড়াকাড়ি’, ‘দংশন’: এখনো তেমনই আছে। কোনো জন্মেই শীতল ছিল না ‘শাপ’। এখনো প্রদীপ নিভে গেলে, চিতা ভেলা ভাসে। সে ভেলায় ভেসে ভেসে বঁধুয়াও স্বর্গ আলয়ে যায়। শুধু এখন আর ফেরে না লখাই! এছাড়াও দেখুন: শোক বিজ্ঞাপন

শোক

শোক মানে কী? শোক! শোক মানে কি পর পুরুষের আদরভরা চোখ? শোক মানে কি রেললাইনের সমান্তরাল পাত? শোক মানে কি গন্ধধূপ আর না বাড়ানো হাত? একটা সাদা শাড়ি! শোক মানে কি মরণ; নাকি জীবন থেকে আড়ি! হ্যাঁগো, শোক মানে কি, কী মানে তার? এছাড়াও দেখুন: তনুশ্রী আরো জানুন

তনুশ্রী

যেমন শীতের রাতে উষ্ণ আমন্ত্রণে ছুঁয়ে থাকে পশমী কম্বল, তেমনি তোমার আমাকেই কেন ছুঁতে হবে ? তোমার আলিঙ্গন কেনইবা পৌঁছুতে হবে ততদূর যতদূরে আমার হৃদয়? সকালের মিঠে রোদ ছুঁয়ে দেয় রূপসী নয়ন ছুঁয়ে ঠোঁট পৌঁছোয় গভীর অনুভবে- আমাকেই কেন পৌঁছুতে হবে ততদূর? একাকী দুপুর থাকে তো থাক আরো অপেক্ষায়? হিমেল হাওয়ায় এবার নাহয় তনু তুমি চাদরেই ঢাকো। আমাকেই কেন হতে…

অকারণ হৃদয় খোঁড়ো

আমি আজ গাইলে সে গান তুমিই আমায় মন্দ বলো, সেদিনের গল্প শোনাই বলতে তুমি গিটার ধরো। একবার গাইলে না হয় আমার হয়ে, গাও না, গাও না সে গান, গাও না তুমি- আমাদের চলতি সময়, সময় যখন যাচ্ছে বয়ে! সামনেই বধ্যভূমি, তুমি আমি যাচ্ছি ক্ষয়ে! সেই গান শোনাও না হয়, যে গানের গোধূলিতে বিদায়ের পরেও তুমি অকারণ বিদায় দিতে; হৃদয়ের পাড়েও…

চারা

ক্রমাগত উত্থিত হচ্ছি; ক্রমাগত সেঁধিয়ে যাচ্ছি পাঁকে। হয় কোনো মূল্যবোধ নেই নয়তো ভূমিতে জো নেই। থাকলে তো চারা হতো! এছাড়াও দেখুন: অকারণ হৃদয় খোঁড়ো আরো জানুন

একা দেবদারু

পারিজাত প্রেম তুমি নিরবতা, বসন্তে নিয়েছ প্রাণ কেড়ে। মানুষেরা অবিকল তার মতো দুটি হাতে দুটি পায়ে হুবহু। নিঃসঙ্গ মানুষ আজো কেন হলো না প্রেমিক! যদিও অবেলায় কেউ তার সুবর্ণ সময় নেয়নি কেড়ে, জীবনের আনন্দ যজ্ঞের নিমন্ত্রণে কেউ তাকে নীল খাম দেয়নি উপহার । বিমোহিত আমি! অন্ধ মুগ্ধতায়! খুলে দেখি পায়রার ঝাঁক! বিচিত্র রঙের সাদা নয়, মিশ্র! চাঁদনী রাতে বিমোহিত পৃথিবীর…

শ্মশানে আর কতকাল

ইদানীং মন একা; ভালোবাসে অসভ্যের মতো। পাষাণ চোখও কাঁদে; ভারী মেঘ বড্ড জ্বালায় ইদানীং। এই একা একা লাগা সাজে কি শ্মশান কবি-র? শেষ হোক হতাশার রসায়ন; নেই প্রাণ প্রাণ-রসায়নে? কোন কাজলে চোখ রাঙালে চোখের কান্না থামে? কোন আকাশে রাঙা মেঘের বুক? মেললে ডানা কোন আকাশে খোদাই করা সুখ? মিলিয়ে যাবে ডানা ভাঙ্গার ভয়! কোন বিকেলে সঙ্গী খোঁজা মোটেও অসুখ নয়?…

দিনমান অন্ধ বাদুরের মতো

চুপচাপ মরার মতন পড়ে থাক্। বিপদেরা এসে, ভালুকের মতো গন্ধ শুঁকে শুঁকে চলে যাক। কানে কানে তোকে কে, কী বলে গেল- ভালুক অথবা বিপদ সঙ্গোপনে, কথাগুলো একান্ত গোপনীয়; কাউকেই তোর রক্তমাখা জামাটা দেখাস না। যে মাঠ গ্রীষ্মের বাতাসে ওড়াতে রঙিন ঘুড়ি দাঁড়াতে দিলো না, যে আকাশ, দাঁড়কাক ভেবে- ঘুড়ি তোর ফিরিয়েই দিলো; সেই মাঠে, সেই আকাশের নিচে একদিন খুঁজে পাবি…

বিসর্জন

অশান্ত সমুদ্রের দিকে পায়ে পায়ে কেন হেঁটে যাব? অগভীর থেকে গভীর, গভীর থেকে গভীরতর লোনা জলে, একটু একটু করে কেন আমি নেমে যাব স্বেচ্ছায়? লোকে কেনো অযথাই নাম দেবে, ‘আত্মহনন!’ কেন নেব স্বেচ্ছা-বিদায়? কেন চলে যাব ডাঙা থেকে লোনা জলে; জল থেকে অচেনা অসীম শূন্যতায়? ‘অবরুদ্ধ আত্মা নিয়ে কি করে তোমার বিসর্জনের বেদনাকে বুঝি!’ বড়জোর এরকম পর তুমি হতে পারো!…

সে কি চাট্টিখানি কথা

বহু সাধনার ধন পড়েছিল কোনো এক আঙিনায়। ছড়ানো মানিক যত বাঁধা তাকে মায়ের মতো, সে কি চাট্টিখানি কথা! ফেলে আসা আঙিনায় ছড়ানো সে স্মৃতির নিবাস- পরবাসে এলোকেশী বনলতা মা হবার স্বপ্নে বিভোর। রাত বারোটার প্রহর গোনার শেষে এলোচুল বিনি করে স্মৃতি বিনিময়, সে কি চাট্টিখানি কথা! শাড়ি ও চুড়ির জন্য নয়, ঘর কি বসতির জন্য নয়, বনকুটিরের ডাকে বনলতা ছুটে…

error: Content is protected !!