Category

সকল কবিতা

কবি তন্ময় সাহা এর সমগ্র লিখনি পেতে আমরা আছি আপনার সাথে। কবি তন্ময় সাহা রচনা সমগ্র দেখুন এবং পড়ুন।

বিজয় তোরণে শব

অনেক শবের পর কবিতা স্নাতক। মানিক সে হারানো কবির। ভরা পূর্ণিমায় আলোকিত সোনালি চাদর- আভরণে অমানিশা ঢেকে যায়। থামে না বিজয়, যদিও ভরপুর শূন্যতায় পায়ে পায়ে শব হাঁটে। প্রভাত ফেরির গান একদিন দূরে ভেসে যায়- উঁচু উঁচু পথও ডিঙোয়, যত উঁচু নয় হিমালয়। নিষ্প্রাণ, মরণ সাগরে ডুবে কখনোই ফেননিভ হয়ে ওঠা হয় না। কখনোই উত্তাল হয়ে ওঠা হয় না শবের।…

অতি সাধারণ ভালোবাসা

আমার দুয়ারে এসে দিয়ে গেল নিমন্ত্রণ। ‘দাদাবাবু, চিঠি!’ আমি বললাম, ‘একটু বসে যাও কমল।’ চিঠিওয়ালা, চিঠি এলেই আসে; কখনোই বসে না। দুচাকার সাইকেলের সিটটি ছাড়া কমলের যেন কোথাও আর বসতে নেই। খামখানা খুললাম। অতি পরিচিত লাইন। চিঠিতে লেখা ‘ওঁ গঙ্গা’। কে আবার পৃথিবী ছেড়ে গেল! হতে পারে পরিচিত; হতে পারে, নয়। ‘দিব্যান লোকান্ স্বগচ্ছতু’ তিনি দিব্যলোকে গমন করুন। কিছুক্ষণ আগে…

প্রজাপতি জন্ম

অমন রূপের মোহে বরাবর বিমোহিত আমি। অপরূপ, ‘প্রজাপতি জন্ম ’তোমার ভেঙেছে খোলস; রূপ দেখে ভুলে যাই, ‘তুমিও যে শুঁয়োপোকা ছিলে!’ এছাড়াও দেখুন: স্বর্ণালি ও সময়ের গল্প  বিজ্ঞাপন

স্বর্ণালি ও সময়ের গল্প

স্বর্ণালির বয়স চল্লিশ ছুঁইছুঁই। ত্রিশ বা পঁচিশ, নিজেকে কখনো কখনো আঠারোর তন্বী তরুণী ভাবতেও বেশ লাগে ওর। ছিপছিপে কটি, আপেল রঙের মেয়েটার মতো পূর্ণ যুবতী সে (ঠিক যেমন প্রিয় জহির রায়হান ছোটগল্পে রুনাকে এঁকেছিলেন)। বয়সের চাপ কমে বাড়ে। কখনো উচ্চচাপ কখনো নিম্নচাপ হয়। স্বর্ণালি, কখনো কল্পনায় আকাশ ছোঁয় তো কখনো পাতাল। ওতে আনন্দ-বিষাদ, রোদ কি বৃষ্টি বিশেষ কিছুই যে নেই,…

ভাত কাপড়ের দোকান

ও মেয়েটা কেঁদেছিল খুব। অবেলায় অতিথি হলে চড়ুইয়েরও জোটে না গো দানা। সেই ভয়ে চোখ বুঁজেই ছিলাম। সে এখন অন্য আঙিনায়, সে চড়ুই খেতে পায় রোজ। দিব্যি সে আছে। ফলন্ত অঘ্রানে না পাওয়া ধানের কষ্টে, পাখি আর কাঁদে না। মুছে চোখ ফেলে যাওয়া ডানায়! সেদিনের সেই ভাত কাপড়ের দোকান আজো শোকে নীল হয়ে আছে। এছাড়াও দেখুন: পৃথিবী গর্ভে বিজ্ঞাপন

পৃথিবী গর্ভে

পৃথিবীগর্ভা ‘মা’- পৃথিবীর আরাধ্যা ‘সন্তান’ এতিম কীভাবে? অনন্যা সহোদরা হিমালয় যার, মাতৃস্নেহ বীজ তার এখনো জীবন্ত। যার যার ছোট বোন আছে, মননে কন্যার অমূল্য অঙ্কুর তাদের। যে জনকের হৃদয় কন্যার স্নেহে স্নিগ্ধ, কলুষতা ছোঁয় না তাকে। খাঁ-খাঁ শুকনো পৃথিবী গর্ভে জীবনের ফল্গুধারা, মরুঝর প্রশান্ত তোমাতেই… এছাড়াও দেখুন: ভাত কাপড়ের দোকান বিজ্ঞাপন

স্বেচ্ছামৃত্যুর দিনে

কাঁদছিস? কেন তোর চোখভরা জল, অবেলায় কেন, ভেজা চোখ রোদ্রে শুকাস? যে চোখে স্বপ্নেরা থাকে সেই চোখে মৃত্যু আদল, অকারণ কেনইবা খুঁজিস, কেনোইবা কাঁদবে সে চোখ! কেনইবা কাঁদাবি তুই? দেখ, অনেকেই বেঁচে আছে পিছুটান ছাড়া। অনেকেই বেঁচে আছে লাশ কাঁধে করে। তোর মতো কলসি কি দড়ি দেখেশুনে কিনতে, হাঁটে তারা ছোটে না। তোর মতো লাশ তারা নয়। তোর এই বেছে…

মা

চলতি পথে সঁপে দিয়ে অচলা জীবন ট্রেন অচিনপুর ছাড়ালো। তারপর পাল্টেছে পরিচয়। বাড়ির আঙিনায় গাছে বাঁধা দোলনাটা ছিঁড়ে দেশান্তরে- দেশান্তরের খেলা খেলেছি আমিও। এরপর একদিন হারিয়েছি পথ। হারালে পথ ডানায় থাকে না জোর। নিজেকে হারিয়ে ডানা-ই তখন ভারী। যে নিশানায় চোখ থাকে বোঁজা কি-ই-বা দেবো নাম! আস্থা নাকি আশা? সমানে যারা পালকি বয় ওরাই আসল বেহারা, নবীন নয় মোটে। ‘এবারে…

নদী হবে

যে নদী স্রোতস্বিনী তাকে কেউ ক্রোধী বলে না। চলে নদী সর্পিল পথ এঁকে এঁকে। দুইধারে সভ্যতা, ফসলের বিশেষ বিপ্লব- ঝড়ো গতি স্বাভাবিক, রুঢ়তাও অমঙ্গল নয়। আজন্ম সংগ্রামী নদী স্বাভাবজ তার ‘রুঢ়তাকে’ হাসিমুখে প্রকৃতিই দিয়েছে প্রশ্রয়। মুখে তার ‘ভদ্র মহোদয়’, ‘ভদ্র মহোদয়া’ এসকল সহসা শোনা না গেলেও, ক্ষরস্রোতা নদী ‘পাহাড়ি ঝর্না’ হওয়ায়, ‘বাঁধানো পুকুর’ অথবা ‘সুইমিং পুল’ না হওয়ায় পরিচয়ে তাকেই…

অচেনা ঘাসফুল

অচেনা যে দেয়ালের ভাঁজে বুনোফুল ফুটে আছে, সে দেয়াল আজো কোনো ব্যক্তিক বকুলতলা নয়… এমন যে অচ্ছুৎ, ‘দেয়ালিকা বুনোফুল’ তাকে আজ ঘাসফুলে সাজাবার তাড়া আছে। এখনো কি তুমি গহন বনের বুনোফুল আছ? নাকি নাকফুলে কোনো এক অচেনা আপন ঘ্রাণ হয়ে ভাসো? নুয়ে গেছ প্রণয়ের ভারে? প্রিয় বুনোফুল, তেমন হলে তোমাকেও জ্বালাবো না আর । স্বল্পায়ু ঘাসফুল একবারই হাসে। ‘ঘাসফুলটিও’ লাল…

error: Content is protected !!