হোরাসের চোখ

রে শ্রীজিতা, একদিন তোর গিটারখানায়- সময় করে গান তুলে যাস- আসিস্- কেমন! জানিস-ই-তো কেমন এলোমেলো, অগোছালো অপ্রেমিকের ঘর। সব কাগজের টুকরো কি আর, হেলাফেলায় লুটিয়ে থাকে: অনেকগুলোই উদ্বায়ী হয়। নাহয় কিছু মলিন পাতা: গিটার খাবে তোর- আর কতোকাল কালের বিবর্তনে পাকস্থলীর কষ্ট হবো… Download PDF বিজ্ঞাপন

এই রাজযোটকের প্রেমে আজকে হঠাৎ, নাইতে এলে! আজকে আমার স্নানের বড় তাড়া- আজকে কেন মেঘ করেছে, আজকে কেন হঠাৎ দিশেহারা? হঠাৎ মেঘে বৃষ্টি যদি পড়েও, গা ভিজে যায় মেঘ নিকোনোর তোড়ে- ভিন্ন কোন জ্বরে হঠাৎ যদি মনে: উৎলে ওঠে বিসৃত লেনদেন- আজকে আমি ব্যস্ত আছি; বন্ধ করো বিমূর্ত সাইরেন! আজকে আমার চিতায় ওঠার দিন, আজকে আমি ব্যস্ত আছি! আজকে আমি…

দিন কতক অন্ধকারে ঘুরে এলেই পারো; কেবল, দুঃখী দুঃখী মুখ করে বসে থাকো… ‘কী কী পেলে না’ প্রতিদিনই হিসাব করে জানান দিচ্ছো। জমা খরচের গতিপ্রকৃতি লিখছো, দোষারোপ করে ভালো ভালো কানগুলো পঁচিয়ে তুলছো- অথচ হামেশাই, তুমি যাদের কাছে যাচ্ছো তারা তাদের ভুতুড়ে দুঃখগুলো মেলে ধরছে না, অপ্রাপ্তির তীব্র অনুযোগ খুলে তোমায় বলছে না! ওরা জানে,‘যে ডুবে আছে খুব পচে না…

লিখছি কীভাবে পণ্য হয়ে ওঠা যায়। অধ্যবসায়ীরাই ধারাপাত শিখতে পারবেন; বাকিরা ইতিহাস হবেন, হয়তো। অতএব, আমিও পারসেন্ট মাফিক এ তল্লাটে প্রাচীনকাল থেকে এ পর্যন্ত যত মানুষ্য কর গুনে এসেছেন তাদের মতো করে তোদেরকে আমার ফিউনারেলে দাওয়াত দিচ্ছি। কেননা, আমি দেখছি আমার ঘর এবং দূয়ার মানেই পলাতক দাস। আমি দেখছি আমি মাত্রেই পুরাতন ভৃত্য, আমি মাত্রেই চলন্তিকা: অভ্যাস। আমি দেখছি নিভৃতে…

এমন নিস্তরঙ্গ ঠোঁট আমি চাইনি, অন্তত দু’বার কাঁপুক। ক্রমশ গোল, ক্রমশ সরু হয়ে আসুক। যে সকল ঘুম খুব বেশি গাঢ় নয় সেখানে চোখের পাতা যেরকম কাঁপে, একবার তেমনই নাহয়, কাঁপুক সে ঠোঁট। খুব বেশি আবেগ, যেমন শিশুদের দেখি- দেখাদেখি একবার কেঁপে ওঠো তেমনই নাহয়। আবেদন খুব বেশি নয়- অন্তত দুইবার কেঁপে ওঠো ঠোঁট। আমাদের অক্ষম চোখ কিছুদূর দেখে, বহুদূরে দেখে…

আমার জরুরী ঘুমে ব্যাধি ও অবসাদ আছে, জ্বরা আছে, মৃত্যুও আছে তা সত্ত্বেও সম্ভবত একটি অথবা দু’টি বালিশ কিম্বা কুশনের জন্যই আমি ঘুমাতে পারছি না। মেরুদণ্ডের ক্ষয়রোগে বাঁকা হয়ে শোবার আগেই অভ্যাস যখন বশ করেছিলো, তখন থেকেই চাইতে শিখে গেছি পাশবালিশও। আরও জেনো, আমি কোন রহস্য অথবা তুতেনখামেন নই। আর, যারা যারা খাটে শোয়: খাট থাকে মাটিতে; যারা যারা খাটিয়াতে,…

মন যখন শরীর থেকে আলাদা হয়ে চক্রাকারে ঘুরতে থাকে: একবার হয়েছিল সেরকম; তখন আর বাঁচতে ইচ্ছে করেনি। এর আগেও বহুবার আমি চক্রাকারে ঘুরেছি কন্যাকুমারীর পাদদেশে, ধানগুলোকে রাখতে চেয়েছি গোলায় (এবং আগাম); তারপর-তো, মন-ই চাইলো না আর। চক্রভেদ শেষে ক্রমশঃ হালকা হয়ে একবার তো দেহটাই উড়ে যাচ্ছিল… সেবারে ডালপালা ধরে আটকেছি; এবারের দেহটা পচে যাচ্ছে। Download PDF বিজ্ঞাপন

ভালোবাসার বানিজ্যিক চাষ-ও হচ্ছে? ভালোবাসা, ইদানীং কিছুটা হাইব্রিড; হ্যাঁ, এওতো ভালোই: প্রেম এবং অন্ধত্বের ক্রসিং, এছাড়া হামেশাই প্রতিশ্রুতির সাথে মিশছে তো ‘মডগেজ’-ও। ‘ভালোবাসা’: ওগুলো এখন আরও বড়, আরও রসালো, অত্যন্ত সুস্বাদু এবং আশ্চর্য মোড়কে আপাদমস্তক মোড়া! Download PDF বিজ্ঞাপন

(১) সুখ তো নাতিশীতোষ্ণই; উত্তাপে বিচলিত হই অথবা শীতল কোন স্নায়ুযুদ্ধে নিয়ত কাঁপি। (২) আবারও না খাওয়া ছেলেরাই শুধু শুধু মার খেল। ঐ, খাবারে নজর… আবারও! বেনিয়াদের বোঝানো গেল না: না-খাওয়ারা চেয়ে থাকলেও বেনিয়া গতর শুকায় না, ওসব কুসংস্কার। (৩) হ্যাঁ, তাকাচ্ছিলাম আমিও চেয়েছিলাম অযথাই। মনে মনে কামনাও করেছিলাম: কোমর ও তার কোন এক অচেনা ঢেউ। আমি জানতাম: তুমিও ও’রকম…

প্রণয় মাত্রেই প্রেমিকার অস্তিত্ব যেন থাকবেই! মুখ্যত দ্বিতীয় কোন ব্যাঞ্জন ছাড়া স্বাদগ্রন্থি কখনোই বলেনি, ‘স্বাদমতো সঠিক লবন’ যুক্ত-ই ছিল’ অথচ চামড়া বলছিল, ‘জ্বলছে!’ অতএব ক্ষত ছিল, নিশ্চিত। এরকম ভাষাও তো ‘শিহরণ’; ওতে কোন প্রেয়সী কি, লাগে? জেনে যাও,‘আলিঙ্গন ছাড়াও সুখ আছে’, জেনে যাও, ‘যে সকল সুখ নিয়ে কথা হচ্ছিল আমাদের…’ জেনে যাও, ‘যে সকল লালসাদের লালন করার কথা ছিল…’ :…