অথচ তুমিও

মুখটা তোমার অমন শুকনো কেনো, ঝরা পাতা যেনো! কয়েদী আত্মা শুকিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত অথচ তুমিও- পড়ে আছো শুকোনো মুখের পিছে! তবুও অভিনন্দন! অভিনন্দন! মনে করে কিছু তবু জানতে চেয়েছো বলে! হয়তো এখনো তোমার-হৃদয় কিছুটা ভেজা হয়তো ইষৎ আদ্রও হতে জানে করুণায়! Download PDF বিজ্ঞাপন

লুকোচুরি

প্রমাদের কালো ফিঙে বসে ছিলো রসহীন কাঠে; ছটফটে ছোট মাছ ঠোঁটে গুঁজে নিয়ে। মাছটাও নির্দোষ, ফিঙেটাও নিষ্পাপ। মাঝখানে ফিঙে-ফিঙে চোখ হয়ে গেলো রসের আড়াল। বাঁচার আকুতি যেনো মাছের মোচড়! মধ্যদূপুরে, বিকালের পর, সন্ধ্যা কি রাত্রি গভীরে কোনখানে ফিঙেপনা চোখ পাঁজরের হাড় খুঁজে পায়নি! Download PDF বিজ্ঞাপন

নক্ষত্র ছাড়িয়ে যেতে

চলে যাচ্ছি নক্ষত্র ছাড়িয়ে দূরে, সাগর যেখানে কচুরিপানায় ভরা। আমি আজ তোমাদের দিকে হাত বাড়াবো না; হাতে আজ উইলফ্রেড তবু হাত কার্তুজে গড়া। উইলফ্রেড ওয়েন কখনোই যুদ্ধ চাননি; তবু তার ঘরে ফেরা হলো না। সেই থেকে অমিয় নক্ষত্ররাজি ভাসমান- অচলা হবার সাধে কবিও স্নাতক আজ। বিশ্ব যুদ্ধে চলে! প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ছাড়িয়েও হয়তো আরও অনেকবার হানা দেবে বেওনেট, ট্যাঙ্ক,…

বরফ

ফার উলের কোটটাকে দেখে ছানাটার কথা মনে পড়ছিল। কিছুটা এগিয়ে গিয়ে দেখলাম,‘ওটা নেকড়ে ছিলো না; মানুষ ছিলো।’ বরাবর এখানে বরফ পরে; কোটখানা সকলেরই দরকার। ছোট্ট নেকড়ে ছানার গা থেকে খুলে নিয়ে ছেলেটা তখন কোট গায়ে বরফ সামলাচ্ছে । Download PDF বিজ্ঞাপন

না-রোধক হ্যাঁ-বোধ

ক্রমশঃ থিতিয়ে আসছে! ক্রমশঃ সংক্ষিপ্ত লালচে আলো গেঁথে যাচ্ছে এলডোরাডোয়, গোপন করোটিতে। কোনো কিছু বলবার অনেক আগেই, বেশি কিছু বুঝে ওঠবার বেশ কিছু আগেই, একান্তে ছিঁড়ে দেওয়া সতীচ্ছদ, ওহ্! জনান্তিকে জোড়া কেন লাগছে না? (অবশ্যই, এখন আর ওতে কিছু যায় ও আসে না।) সম্পূর্ণ জীবন মানে খেয়ালীর শখে এক-আধবার তির ছোড়া কি? ভোঁতা যে তির, সীমান্তে সে কী ফোঁড়ে? Download…

দাঁত

থিবিসের পথে পথে যখন যুদ্ধ শেষে পড়ে থাকা ছোড়া তির, লুটানো ধনুক, মৃত বর্ম, শিরস্ত্রান এবং তলোয়ার শকুনির শ্যেন-দৃষ্টি মেলে কুড়াতাম (কুড়াতাম আগত যুদ্ধের নতুন রসদ হবে বলে)- শুনুন, তখনো স্ফিংসের পলেস্তারা খসেনি। কখনো সরাসরি, কখনোবা গলিয়ে নতুন নতুন ছাঁচে: তখনও পুনরায় মারণাস্ত্রের জন্ম হতো! বহুমূল্য ব্রোঞ্জ! খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে কতবার যে আমরা স্ফিংসের পলেস্তারা খসাতে চেয়েছি… অথচ দেখুন, সেই শ্রীমান…

সত্তা

জোড়া কতোক জুতো আমার বরাবরই ছিলো, আছেও; অথচ এক জোড়া বৈ নিজস্ব পা আমার নেই, ছিলো-ও না! জুতাগুলো পায়ের জন্য মানানসই না হওয়ায় কিম্বা, পায়ে ব্যথা লাগায় বহুবার বহুরূপী ঝকমারি-জুতো আমি ফেলে দিয়েছি। প্রিয় পা-জোড়া, তোমাকে ফেলে দিইনি; দেবোও না। Download PDF বিজ্ঞাপন

আপন করোটি দেখি

রূপ তার আগুন যে বরাবর! খুব বেশি আগুনেও পুড়েছিলো কেউ। নদীকুল কাকঠাঁই পুড়ে পুড়ে চর পোষা বুকে রূপ নদী হারিয়েছে ঢেউ। হয়তো জগতে আছে ক্ষতহীন চাঁদ, বোধহীন মানুষের ভীড় নেই: নিজ চোখে সে সকল দেখা যেনো হলো না এবার। যে সকল রূপ হলে ইলিশের পিঠ তাকে বলে: সে সকল রূপকথা, সে সকল হাহাকার সকলের সবকিছু থাকে না। ও সকল কবিতা…

হোরাসের চোখ

সময়খেকো-রা মানুষ নয় ‘হোরাসের চোখ’! ‘হোরাসের চোখ’ হতে চেয়েছি বলেই: আট থেকে আটত্রিশ নখের কামড় বসে গেছে কপালে আমার, একে একে খসে গেছে সবগুলো যুবক পলেস্তারা। তুমিও পেরিয়ে গ্যাছো তেত্রিশ কোটি শুদ্ধ কল্পকাল। এসকল অনন্য সময়খেকোরা অমানুষও নয়, বিদগ্ধ ওরা যেনো ব্লাকহোল। Download PDF বিজ্ঞাপন

আবারো ঝলসে গেছে প্রেম

বনলতা কখনই যুদ্ধ যেতেনি; আবারো জীবনকবি ওর হয়ে যুদ্ধে নেমেছেন। চাঁদ তার রুটি হয়ে আবারো ঝলসে গেছে। আবারো ঝলসে গেছে সুকান্ত প্রেম। কবিতায় কতদূর হেঁটে যাওয়া যায়? কতদূর হেঁটে গেলে একটা একটা করে রুটিগুলো ছেড়ে চলে যায়! সেই শোক ভুলে যেতে হয়তোবা একদিন বনলতা সেন দিয়েছিল শান্তির ছোঁয়া! মন আজো সেই লোভে মজে আছে! তারমানে এই নয় বনলতা হাত ধরে…

এখানে তন্ময় সাহা এর 456 টি কবিতা পাবেন

error: Content is protected !!