মনে হচ্ছে: নির্মম সাঁড়াশি দিয়ে কেউ আমার দাঁতগুলো উপড়ে ফেলছে। আমি চিৎকার করে বলছি, ‘একটু এলোমেলো-থাকুক, একটু দাগ-থাকুক, সামান্য ক্ষত, একটু নড়বড়ে ভাব: তেমন কিছুই নয়।’ অথচ… দাঁতগুলো আমার, আর আমার মুখবিবরে সাঁড়াশিটা তোমার। Download PDF বিজ্ঞাপন

এমনকি ছুটির শুভ দিনেও বিশেষত যখন কাউকেই আমার সমাধি প্রদক্ষিণের জন্য কোন প্রকার দক্ষিণা-ই দেয়া হচ্ছে না, এমন দিনে কেউ যদি ঘুমন্ত মাথার পাশে কাঁদতে বসে: আমি সন্দিগ্ধ হই। আশা করি প্রিয় ঈশ্বর তা বুঝবেন। Download PDF বিজ্ঞাপন

মানুষ হাসপাতালে যথার্থ অর্থে পাগলাগারদে থাকাকালীন অসনাক্ত সময়ে তারা জেনে যাচ্ছে: ‘এখানে মৃত্যুকালীন সময় অবধি খাদ্য সংগ্রহের তাগিদ বরং কিছুটা কম; আর মর্গে তা একেবারেই নেই।’ Download PDF বিজ্ঞাপন

এই বিবর্ণতার সমীপে আমি কোন প্রশ্ন রাখিনা। চটে গেলে রঙ প্রশ্ন করি না আর। খুব জানি ওরকম হয়। বর্ণনাময় আয়েশী ঋতুর যে সকল কালো জামা সহসা-ই গায়ে ওঠে না, সেগুলোও চোখে-মুখে কালচে দাগের রুপে কখনওবা সাদাটে ইষৎ বলিরেখা আড়ষ্ট আজ, লেপ্টে কুঁচকে আছে। কী এমন ঝড় আছে কখনো ছোঁবে না বলে বড়াই-বা করা চলে? একদা সকালে পাখিরা ডাকার আগে যে…

পটলগুলোকে নিয়ে কিছু না বললেই নয়। সচরাচর ওরা যখন রুই জাতীয় মাছের ঝোলে গড়াগড়ি খায়, তখন পটল আর পটল থাকে না। তার’চে এই ঢের ভালো: এক কোনায় পড়ে থাকা পটলগুলো দিয়ে পটল ভাজি, তেল পটল অথবা পটলের রসা-ই হোক। পুনশ্চ: আলুকে সর্বরোগ বিশষজ্ঞ বলা চলে তবে, পটলকে তাই বা বলা যাচ্ছে কই? Download PDF বিজ্ঞাপন

কোন এক না-ভালো থাকা দিনে বইখানা পড়েছিলাম। বই কিম্বা লেখকের নাম কোনটাই কখনো বলবো না। পড়তে পড়তে এ বিষয়ক কথাগুলোই হচ্ছিল যে, ইদানিং কোন এক-অনন্য অস্তিত্বের সুগন্ধ টের পাই আমিও। কে কখন কার সাথে কথা কয়! কাকে যে কখন পড়ে মনে! অথচ লেখকতো মৃত; অথচ তার ফিরে আসার কোন সম্ভবনাও এখন আর নেই। কেন যেন তার সাথে কথা বলছি, কথা…