না থাকা অথবা থাকার রসায়ন

রোদ্দুরে অথবা ছায়ায়: যেকেউ একজন হলেই আমার অন্তত চলে না। তোমাকেই চাই, প্রয়োজন তোমাকে। কি এক ম্যাজিক জানে রসালো পেঁয়াজ, অনবরত খোলস ঝেড়ে ফেলে একসময় বেমালুম-ভ্যানিশ! আমিও তো জানি! খোলস বলে না একে, শল্কপত্র-ই বলে। জানি, আমি জানি, তোমারও তেমন কোন খোলস-ই নেই! অদ্ভুত শল্কপত্রে আমি আমার হাত অথবা ঠোঁট কোনটাই রাখি না: পাছে! তুমি নাই হয়ে যাও। Download PDF…

কাটা কাটা ছন্দের ঘুড়ি অথবা বিহঙ্গ

জেনেছি আমিও, অধিকাংশ পয়ার তোমারও ভালো লাগে। দেখো, ছন্দে ছন্দে লেখা কয়েকটি লাইন অন্তে কেমন মিলছে… কখনো মধ্যে, কখনো মাঝে মধ্যে, কখনো নিদৃষ্ট তালে তালে নয়: মিলছে তব্ওু! মনে মিলছে, দেহে ও রীতিতে: মিলছে? আহা! চতুর্থ মাত্রায়ও কেবল মিল এবং মিল! শতশত হরবোলা পাখি অনেকের মতো নামে ও বেনামে ডাকে, একান্ত নিজস্ব নাম তুলে রাখে, অনেকের মতো। নিজস্ব ভাষাও এইখানে…

তুমি ওকে ঢেউ বলে জানো

ওরকম নদীগুলো উদাস তো নয়, অনেক জলের স্রোতে এলোমেলো শুধু। শান্ত নদীর বুকে তুমিই কি সমতল খোঁজ? যখন সে কথা রাখে টেনে নেয় শ্বাস, প্রশ্বাস ছাড়ে- বুক তার ওঠে আর নামে। ডানে বামে লোকালয় ভুলে যে আঁধার থিতু হয়ে আছে, তার মাঝে পথ এঁকে দিয়ে কেউ কেউ বাতাসের বেগে ছুটে যেতে ভালোবাসে। ওরকম মানুষেরা নদী হয়, পারো যদি নদী বলে…

এক রজনীর মধ্যভাগে

আলতোভাবে ঠোঁট ছোঁয়া যাক; এই না হলে, সাকীর পয়ার! বিষের চুমু কে দেবে আর! ‘এক পেয়ালা নতুন চমক’- কে দেবে আর! ওই পেয়ালায় একটু নাহয় চুমুক দিয়ে এক রজনীর মধ্যভাগে জলসাঘরের বিষ ঢুকে যাক! বিষ ঢুকে যাক, বিষ ঢুকে যাক, বিষ ঢুকে যাক। Download PDF বিজ্ঞাপন

নিখোঁজ সপ্তাহ

(১) নিদ্রা গেলি! পোড়ারমুখো, ঝাঁপ দিবিনে? কীইবা নিলি নিবিড়ভাবে কেড়ে! (২) ঘাসফুল কেনা হলো, কেনা হলো কতক গোলাপ; যে যখন ঝরে যায় যাক। আমার শরীর; আমার নরক। (৩) ঠোঁট ক্রমশ গোল হয়ে আসছে; ঠোঁটে ঠোঁট চেপে, যে কোন বৃত্তে-ঠোঁটের সংযম ক্রমশ অধীর। ক্রমশ বিবশ হচ্ছি। (৪) ক্ুঁকড়ে গেছো, পদ্মজবা-শ্বেত শালিকের ডাকে? এখন জীবন দুপুর দুপুর; জিরিয়ে নেবার ফাঁকে কাঠের কোকিল…

পদ্মপুকুরে

ভেসে আসা ঘ্রাণ, পদ্ম-গন্ধার। পদ্মের চেনা ঘ্রাণ আগেও পেয়েছে সে। চুলগুলো খোঁপা ছেড়ে উড়ে এলে, চোখে মুখে বুলালে আদর: কেউ কেউ খুশি হয়, কেউ কেউ ঘ্রাণ খুঁজে ফেরে। কেউ বুঝি ধুয়ে এলো কামার্ত ঘাম; স্নান করে এলো। Download PDF বিজ্ঞাপন

অবস্থান্তর এবং অন্যান্য বিষয়াদি

সম্মানিত যাত্রী সাধারণ, যাত্রাপথে সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এখানে আমরা কিছুক্ষণের জন্য থামবো তারপর যে যার মতো যাত্রা করবো। এবং এখন যেহেতু আমরা পথে পথে চলতেই পছন্দ করছি, সেই হেতু গন্তব্যের ওপারে শুধু নয় চলমান পথেও ভ্রমণের উপাখ্যান লেখা হতে থাকবে। বিশেষতঃ দূরপাল্লার ভ্রমণে, এমনকি বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই পথে, যাত্রার ক্লান্তিকে বড় বেশী প্রাধান্য দিয়ে ফেলি: হয়তো যাবার এবং…

যখন চুলের জন্য শোক বা সুখ কোনটাই হচ্ছিল না।

‘হাতুড়ে-নাপিত’ আর ‘হেয়ার-ড্রেসারের’ পার্থক্য বুঝতে পারাও জরুরী ছিল। তখন, আমার চুল আমাকে বলতে শুরু করেছিলো, “যদি তারা অনবরত এবং অনেকক্ষণ ধরে কাঁচি চালিয়ে যায়; অনেকটা ‘কাটা চুল’ একত্রে জড়ো করে: আর এতেই যদি তুমি শান্তি পাও তবেতো, একরূপে সমাপ্তি হয়েই গেলো।” ধরুন, যদি তারা জেনে থাকে: কীভাবে, কোন রূপে সাজানো হলে লোকমান্য সৌন্দর্যের (রূপের আগাড় বলে সচরাচর ডামি বা ছবিতে…

ভালো-ই রয়েছে স্নায়ু

ব্যপার তো-স্নায়বিক, ভা’য়া। ভালো-ই রয়েছে স্নায়ু: থৈ-থৈ সুখ ঘিরে আছে… মাঝে মাঝে ঘুম আসে, মাঝে মাঝে আসে না! সব কিছু ‘তুমি’ আর ‘আমি’ নির্ভর। নির্ভার কেউ নই; নির্ভরতাও মেকি- একে যদি ‘ভালো’ বলো তুমি- ভালো; যদি বলো, ‘না’-বেশ অথবা বলো না কিছুই! স্নায়ুর ভিতর এই ‘তুমি-আমি’ ঢুকে যাওয়া: ভালো? তোমাকে তো জানি না; নয় আমাকে আমি-ও! কেউ যদি ভুলে যায়,…

দাগ কিছু নয়

জ্যোৎস্না জ্বালায় জোনাক পোকা, জোনাক পুড়ে পুড়ে: যে আলো দেয়, তা-ই নিয়ে যাই-দূরে… কিসের জ্বলন রেশ রেখে যায় অন্তঃপুরে-অন্তঃপুরে? পুড়ছে আমার ঋণ, আলোর কাছে যত! ও-কিছু নয়; এইভাবে হয় সকল পোড়া ক্ষত। দাগ কিছু নয়! Download PDF বিজ্ঞাপন

এখানে তন্ময় সাহা এর 458 টি কবিতা পাবেন

error: Content is protected !!