‘কবিতা লেখাটা’ বড়লোকের বাতিক-
অথচ, নিতান্তই কারখানা টাইপের-প্রেস থেকে
নির্বোধ হাভাতে কবি কিছু অক্ষম অক্ষর ছাপিয়ে,
ঝুলি ভরে
মাঝে মধ্যেই হাজিরা দেন পরিচিত বন্ধু বান্ধবের
আড্ডায়।
সচরাচর কবিতা কেউ শোনে না, পড়েও না।
নিতান্তই ধার শুধবার ক্ষমতা নেই বলে: কেউ কেউ
করুণা করে।
হাত পাতবার লজ্জায় কবি আজ বই পাতে!
তারপর, যে যা দেয়!
ত্যক্ত-বিরক্ত সুহৃদেরা আজকাল ধীরে ধীরে
ছেড়ে যাচ্ছেন।
এদের মধ্যে যারা মুখ ফুটে বলেছেন,
“এভাবে ভিক্ষে চাইতে লজ্জা করে না!”
তাদের কাছে আর যাবো না।
সন্তান বিক্রির মহোৎসবে আর কতোকাল?
এতিম কেনে না কেউ!
No Comments