চাল মোটা থেকে সরু হতে হতে,
কচুপাতা থেকে মাথাল হয়ে পৌঁছুতে নকশী ছাতায়,
তার-ও পরে সুদৃশ্য বর্ষাতি পেতে পেতে:
চলে গেছে আমাদের তিন তিনটি প্রজন্ম!
কাঁধে যখন উন্নয়নের তিন প্রজন্মের দায়,
কী করে তখন
পিঁড়ি পেতে পদ্ম পাতায় মোটা চালের ভাত খাবো!
নাগরিক বিচ্ছেদে চুল ছেঁড়ার আগে
পতনের সঠিক সংজ্ঞা, সে কি কেউ জানাবে আমায়?
তবে কি
উচ্ছন্নে-ই যাচ্ছি!
আবারো কি উচ্ছন্নে সহসা গমন!
(বস্তুত যখন সরু চালের ভাতই খাই,
বর্ষা অথবা রোদের হল্কা থেকে বাঁচতে সচরাচর
বগলদাবা ছাতা ব্যবহার করি না।
সাহেবী জুতা পায়
বাহারি হ্যাট মাথায় ইদানিং দিব্যি আছি!)
তরকারি জনে জনে জোটে না যখন, বেশ করে
ডলে ডলে ভাত মাখা হলে সাদা সাদা ভাত
কেমন হলুদ হয়ে যায়!
‘অসময়ের সালুনে লবন বাড়িয়ে দেয়া’,
কিম্বা
‘আলু আর ঝোলে মাছ কি মাংস পুষিয়ে নেয়া’:
(যে যে কৌশলগুলো গুরুজনেরা ভালোই জানতেন)
হয়তো আমাদেরও সেইখানে ফিরে যেতে হবে!
যখন আমরা: তরকারি আলাদা, ভাত আলাদা;
আলাদা আলাদা চামচে আয়েশী পরমান্ন খাই!
মাছ কি মাংসের টুকরো যখন ভাতেই শুধু নয়
স্নাকসেও জোটে: কি করে আমরা
তোমারই মতোন উচ্ছন্নে যাবো !
আমাকেও এমনই বিরাট কিছু বানাতে
আমারই সাত পুরুষের ভিটে
একদা আমায় লাথি মেরে বলেছিলো, ‘গেঁয়ো ভুত,
সবাই মরে তুই মরিসনে!’
এইসব মহামারী, যুদ্ধ, দূর্ভিক্ষ, অভাব আর
কৃচ্ছতার পীড়নে
ফেলে আসা মোটা ভাত-মোটা কাপড়ে,
পায়ে চলা পথে, ফসলের ক্ষেতে,
কাদামাখা মানুষের কাছে,
সেই না ভালোবাসার যুগে, সেই কবে যাদের
পরশ্রীকাতর নাম দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে
যৌথ থেকে একক হয়েছি-সূদীর্ঘকালের পর
সেখানে আমরা কিভাবে আবারো ফিরে যাবো?
No Comments