চলতি পথে পথও করে আড়ি, বাড়ি যাচ্ছি! বাড়ি!
বৃষ্টি থাকে, মিছিল থাকে, জটলা থাকে, ঝড়ও-
নাহয় গায়ে জোর থাকে না, জ্বরও-
না হয় বুকে দম থাকে না, কম থাকে।
পথও বলে বাড়ির ও পথ কঠিন করো আরো,
দাও বিছিয়ে আরো কঠিন শাপ।
শাস্তি হলে, শোধ হবে ওর পাপ!
নিজেই নিজের কাঙাল অভিশাপ, ওই পেয়ে ও মরুক।
এত্ত কেন ফেরার দেরি ওর?
‘ও-ইখানে তোর মা থাকে রে
ওইখানে তোর বাপের বাহুডোর!’ মনেই থাকে না?
যাচ্ছি বাড়ি!
কণ্ঠে যাদের বাড়ি ফেরার নিত্য আহাজারি-
যাদের আবার পেটও থাকে,
বাড়ির পাশে গরম ভাতের আড়ত থাকে না,
যাদের আবার শেকড় গেছে ভূমির অনেক নিচে ,
উপড়ে নিলে কেবল মরে যায়,
সেই বাবুরা আমার মতো মরো!
যাদের কেবল ভাত কামিয়ে বেড়াল পোষার দায়!
তারাই কেবল আমার মতন এমন, বাড়ি যায়!
বাড়ি চেনো? বাড়ি?
ঘর চেনো কি? ঘর?
শেকড় চেনো নাকি?
মা ভালো নেই, মা ভালো নেই,
একটু বাড়ি কষ্টে আছে বেঁচে ।
না যদি মা থাকে, ‘মা’ যদি না থাকে,
কিংবা যদি হাঁসের আগেই মরে হাঁসের ছা-
তখন আমার এমন বাড়ির প্রশ্ন আসে না।
তখন এমন ঝক্কি মাথায় পথে পা বাড়াবো না,
তখন এমন তুচ্ছ কাদামাটি,
গা মাখাবো না !
তখন জানার দায় রবে না কারো,
কেন,
এই এতকাল এ পথ হাঁটিনি?
কেন এই কোটিকাল পরেও দেখিনি সুখ চোখে?
ছাড়িনি হাঁক-
সুখ ভরা বাঁক কাঁধে হইনি ফেরিওয়ালা।
আমার মতন মানুষকে
কে রাখতে পারে বেঁধে, কেইবা বাঁধে?
আরো পড়ুন: মন মনের কথা বলছে
1 Comment