বোলতার কোনো অধিকার নেই কার্নিশ অথবা ঘুলঘুলিতে বাসা বাঁধার!
মৌমাছি হলেও নাহয়, কিছুদিন পুষলেও পুষে রাখা যেতো!
সাহেবের বাগান বাড়িতে মৌমাছি কোনোমতে
মানালেও মানিয়ে যেতে পারে; বোলতা মানাবে না!
তাছাড়া- বোলতার বৌ, বোলতার ছেলে আদোতেও
বুলেটের রক্তের কেউ নয়!
‘বাদাবনের মৌয়াল’, তার কাছে ধুনো জ্বালাবার ট্রেনিং নিয়ে,
রাজপথে বিকৃত পিকেটারের দেখাদেখি গ্রনেড ছুঁড়ে;
অকারন অভিমানে হতাশায় গায়ে আগুন দিয়ে মরেছে যে যুবতী-
তার কাছে কেরোসিনের সর্বোত্তম ব্যবহার শিখে
বোলতা তাড়াতে এসেছে একালের বীর রুস্তমেরা!
তারও আগে তাদের এক একজন চোরের মতো ডুবো-তেলে,
পুরহিতের মতো কর্পূরে,
পাদ্রির মতো লম্বা গাউনে আপাদমস্তক লুকিয়ে
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে নেমেছিলো; এদিকে সাহসী বীরেরা
কিছুক্ষণ যুদ্ধের পর বেশ কিছু ঝলসানো ডিম,
আধপোড়া শিশু, মৃত যুবতীদের ফেলে রেখে
এমনকি বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের বিসর্জন দিয়েও দূর্দান্ত লড়েছিলো।
বেশ কিছু বুলেট তেড়ে এসেও তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি।
তারপরও ধ্বংস, লজ্জাহীন প্যান-প্যান, প্যান-প্যান
করেই চলেছে, করেই চলেছে…
গৃহহীন,
শিশুহীন পৃথিবীতে বোলতার গৃহস্থালি- কারো অসুখের কারণ হলে,
তাকে-ই কি যুদ্ধ বলে?
No Comments