রমণীয় শাড়ি নয় হাটুরের দলে থাকা ঝাঁকা মুটে নারী,
শ্রমিকের শাড়ি: গোড়ালির গা বেয়ে নামে না।
বেনারসি নয়, শ্রমিক শাড়িটা তার ভেজালে চলে না।
যতটুকু ঘামে ভেজা শুকোতে শুকোতে লাগে
কয়েকটা গ্রীষ্মের রোদ! এভাবেই
রমণীও পার হয় হাঁটুজল-নদী।
হাঁটুজলে বড়জোড় জঙ্ঘা সমান সেও;
জরুরী কাপড় সে কখনো ভেজায় না;
এইখানে আছে তার চিরচেনা জলের আড়াল!
গোড়ালি-হাঁটু, হাঁটু থেকে জঙ্ঘা অতোটা জলের পর
ভেজা নেই, ডোবা নেই-
ওইখানে লজ্জাও আটপেড়ে শাড়ি হয়ে গ্যাছে।
অথবা শ্রমিক নয়, কুল যার বেনারসি অথচ
যে জঙ্ঘায় দাগ লেপে আছে কেবল লুকায় যে,
সেও জানে, ‘সাধারণ সহবাস ওগুলোতে বাধে না।’
কাঙ্খিত সহবাসে সুখের আড়াল থাকে, মোহ থাকে
তাছাড়াও,‘ক্ষণিক আকাশে অতোটা নিখুঁত
রুচিবোধ ছাপোষার কোনোকালে ছিল না!’ সেও জানে,
‘স্বাভাবিক স্রোত চিরকাল জঙ্ঘা ছাপিয়ে যায়।’
এরকম বোধ শুধু যার যার ব্যথা আছে তার তার জাগে।
যার যার শ্রম, যার যার ক্ষুধা,
জন্মদাগের সুখ তার তার দায়…
পক্ষীর কূলে পাখি বলে ডানা ভাঙা পাখিদের,
মরা-মরা পাখিদের,
জবাই দেবার আগে হাটুরে মোরোগটাকে
পাখি বলে কেইবা মেনেছে কবে? কালের গোরস্তানে
সেরকম মহতেরা, মানুষেরা- নিরিবিলি শুয়ে আছে;
বাকিসব ক্রমাগত লজ্জাই দেয়…
তবুও জঙ্ঘারা লজ্জাকে ফুঁড়ে ক্রমাগত ভেতর থেকে বাইরে,
বাইরে থেকে ভেতরে যায়। এর নাম স্রোত নয়,
এর নাম যাতায়াত…
এর নাম মন ভেঙে দিয়ে দেহকেও মেরে ফেলা।
1 Comment