Category

সকল কবিতা

কবি তন্ময় সাহা এর সমগ্র লিখনি পেতে আমরা আছি আপনার সাথে। কবি তন্ময় সাহা রচনা সমগ্র দেখুন এবং পড়ুন।

বারবিকিউ জমে ক্ষীর

বালিহাঁস নেমেছিল। কেউ কেউ পেয়ে গেল মাংসের ঘ্রাণ। কারো কারো হাতে হ্যান্ডবিল, প্লাকার্ডও এল। বিলবোর্ডে ছেয়ে গেল রোমান নগরী! কোথাও মার্কসবাদী, লেলিনের সমাবেশে নাগরিক সচেতন হলো- সাম্যবাদ, উগ্রবাদ, পুঁজিবাদ পুঁজি করে শোক শোক প্রস্তাব ধেয়ে এল-দক্ষিণী মেরুর বুকে শীতল প্রস্তাব নিয়ে গাছেরা হাজিরা দিতে গেল। ইল মাছেরাও-উড়ে গেল ডানায় ডানায়। কীভাবে, কত পথ পাড়ি দিয়ে আসে বালিহাঁস দেখবেন বলে- দেখতে…

আইজুদ্দির স্বপ্নের গরু

এই জ্যৈষ্ঠে ‘আম’ বেচে আইজুদ্দি’ ‘গরু’ চেয়েছিল ! পথ চেয়ে ছিল বছর দুয়েক! না জানি সখের কুঁড়ি পাতা হয়ে কবে কবে আসে; কবে হয় পাতা সভ্যপানা গাছে। টিয়ে রঙ্গা পাতা হাল্কা থেকে গাঢ় সবুজ হলো। সবুজ হলো গাঢ়। সে আসবে বলেই: অপেক্ষায় থাকা হলো। মুকুল আসবে বলে, আইজুদ্দি অপেক্ষায় ছিল আরো বছরখানেক! এসেছিল দু’একটি মুকুল। আরো বছরখানেক আইজুদ্দি ছিল অপেক্ষায়!…

নেমন্তন্ন

জমিদার কত্তার পুতের বে’, নেমন্তন্ন গো দাদা, নেমন্তন্ন। প্রেজারা মেলা খুশি, বে’ বলে কতা। আমি কি আর না যায়ে পারি গো দাদা, না যায়ে পারি ? কত্তার পুত, ছোট কত্তা বলে কতা! হাটের মইধ্যে ঢেড়া পিটায়ে নেমন্তন্ন! কী তার বাহার! কী তার চটক, বাবা গো বাবা! আমি কি আর না যায়ে পারি! বাপের সাথে পুতেরও তো যাওয়া লাগে, নাকি, কও?…

কলসি

অবহেলায় নদীর গায়ে লেপ্টে ছিল একতাল মাটি, ভেজে কি শুকোয়! কেউ তার একাধিক দুখের নেয়নি খবর। একদা নদীর গা থেকে কুমোর নিলো কেটে। পায়েতে মাড়িয়ে দিলো পিষে। আকাশ সমান উঁচু থেকে ফেলে, আছড়ে, টেনে ছিঁড়ে, হাঁচড়েপাঁচড়ে, করেছিল একবার নরম তো একবার শক্ত চাঙর। হঠাৎ বসিয়ে দিলো কুমোর চাকায়, বনবন ঘুরল চাকাটা, বনবন ঘুরল মাথাটা। এত করেও সাধ তার মিটল না-…

হরেক রকম চশমা আছে

রকমারি চশমার গল্প বলি- হরেক রকম চশমা আছে সাদাটে চশমা, রঙিন চশমা, টিনের চশমা। পাওয়ারলেস চশমায় ধুলো-বালি, চশমাটা সানগ্লাস হলে সে অতিবেগুনী রশ্মিও আটকায় । রঙিন চশমার রঙিলা দুনিয়ায় টিনের চশমা পরে দেখি না কিছুই। মুলতঃ চোখের দোষে চোখ খুললে যায় না দেখা, বুঁজলে দেখি চমৎকার। এসবের ঊর্ধ্বে খালি চোখে পরিষ্কার না দেখতে পেলে, আসুন, চশমাতে মাইক্রোস্কোপ লাগিয়ে ভাইরাস দেখি।…

মাছের খোরাক

মাছের চোখেতে প্রেম ভোগের উনুন; সুখ মানে অসুখের বাণ! সাগরের নীর ডোবা আগুনে নিত্য জ্বলার গান! তুমিতে আমিতে লেখা ছড়ানো কাগজ, পাল্টানো পুরোনো পোশাক! পোক্ত জটিল প্রেমে জমছে ক্ষীরের কড়া। কড়াইখানেক তেলে মাছের খোরাক! ও রাঁধুনি, ভাজতে কি জানো? ভাজতে জানা মানেই ধ্বংস চেনা-জানা। ও রাঁধুনি, চিনেছ কি ‘ভাজা মাছ’? পেতে প্রেম আকুলিবিকুলি প্রাণ। খাঁচায় জমাট বিষম মায়া। বড্ড বেশি…

অরণ্যের অভিমান

তোমার অরণ্যে তুমি নিজে হার মানো। অরণ্য উজাড় হলে অভিশাপ কই? অনেক ভেবেছি আমি ভাবলাম বহুবার , ‘অরণ্য হয় না গোলাম। অভিমান জমা হতে থাকে, সে ফুরায় বীজ মরে গেলে।’ মালিকানাধীন ইট-কাঠ, মাটি আর গাছের ফসিল- মানুষ নশ্বর, অরণ্য নশ্বর , নশ্বর পৃথিবীর ধ্বংসটা আরো ত্বরিত- এখন উৎসব আরো মুখর, জমকালো আরো। জগৎ বীজের মতোই অরণ্য আদলে স্বাধীন। ও অরণ্য…

অনেক শরৎ

আমরা যখন দোকলা থাকি বসে, রোদের আলোয় দুপুর ঘষে ঘষে কেবল দুজন পত্র লিখে যাই। কেমন আছ, কেমন আছে কোলের বাবু সোনা এবং বাবা-মা। এর বাইরে, অনেক শরৎ কিচ্ছু লিখি না। ভাবছি এবার পত্র দেবো; ভাবছি এবার জানতে চা’বো, ‘আমার চোখে চালশে হলো, তোমার চোখে কালচে কেন দাগ? দীর্ঘদিনেও পাশ হলো না বর্ণমালার যৌথ প্রথম ভাগ… কেন তুমি ক্লান্ত হলে…

চৈত্র নাইয়র

পোড়ে মন তাপদহে। চৈত্র আগুন দেহে: পরগৃহে যেয়ো না গো তুমি। ওগো মেঘ দাঁড়াও, বাড়াও দু’হাত! নিরালায় যদি বসো একটু বেশিই কি এমন পরচারি! লাল শাড়ি, আলতা কি চুড়ি সাজো মেঘ; মন যদি চায়! শোনো শোনো প্রিয় প্রাণ, চাইলেই চৈত্রে যাবে ‘পরবাসী মেঘ’; কাছে না এলেই হবো ‘বিরহী বোশেখ’! ‘তোমার নাইয়র’ সেই ‘চৈত্র নাইয়র’ শিরে নামা সংক্রান্তির উন্মত্ত অভিশাপ! চাইলে…

লহ্মীন্দর বেহুলা খোঁজে

এখনো মঙ্গল হয় মনসার বিষে; মৃত্যু দুয়ার খোলে অবেলায়। এখনো লহ্মীন্দর বেহুলাকে খোঁজে। ‘নিশ্ছিদ্র  বাসরে কড়ে আঙুলের ছেঁদা’, ‘জীবনের কাড়াকাড়ি’, ‘দংশন’: এখনো তেমনই আছে। কোনো জন্মেই শীতল ছিল না ‘শাপ’। এখনো প্রদীপ নিভে গেলে, চিতা ভেলা ভাসে। সে ভেলায় ভেসে ভেসে বঁধুয়াও স্বর্গ আলয়ে যায়। শুধু এখন আর ফেরে না লখাই! এছাড়াও দেখুন: শোক বিজ্ঞাপন

error: Content is protected !!