বালিহাঁস নেমেছিল।
কেউ কেউ পেয়ে গেল মাংসের ঘ্রাণ।
কারো কারো হাতে হ্যান্ডবিল, প্লাকার্ডও এল।
বিলবোর্ডে ছেয়ে গেল রোমান নগরী!
কোথাও মার্কসবাদী, লেলিনের সমাবেশে
নাগরিক সচেতন হলো-
সাম্যবাদ, উগ্রবাদ, পুঁজিবাদ পুঁজি করে
শোক শোক প্রস্তাব ধেয়ে এল-দক্ষিণী মেরুর
বুকে শীতল প্রস্তাব নিয়ে গাছেরা
হাজিরা দিতে গেল।
ইল মাছেরাও-উড়ে গেল ডানায় ডানায়।
কীভাবে, কত পথ পাড়ি দিয়ে আসে বালিহাঁস
দেখবেন বলে-
দেখতে দেখতে বালিহাঁস হয়ে
বৈদেশী হলেন শত শত দেশী পাখি।
একদিন দিঘি নালা হয়ে গেলো।
অভয়ারণ্য উজাড় করে পক্ষী-নিবাস হলো;
খোলা হলো
বিলাসীর মায়াবী রেষ্ট-হাউজ। শত শত
দর্শনার্থী, প্রেমিক, অবলা পরিযায়ী, ব্যবসায়ী সাধুর
প্রেমে পড়ে, আরো কিছু বালিহাঁস যমপুরী গেল!
কপালিয়া কিছু পাখি প্রাণ নিয়ে, ফের-
ফিরে গেল আলাস্কায়!
পলাতক বালিহাঁস, জানো কি –
অভুক্ত পেটগুলো সুস্বাদু ডাক রোষ্টের অপেক্ষায়
পথ চেয়ে আছে বহুদিন! আবার নতুন শীতে
মৌসুমী পরিযায়ী তুষারে
নতুন নতুন বালিহাঁস রোষ্ট হবে। তুমি এলে
আবার বারবিকিউ জমে হবে ক্ষীর!
এছাড়াও দেখুন: আইজুদ্দির স্বপ্নের গরু
No Comments