Category

সকল কবিতা

কবি তন্ময় সাহা এর সমগ্র লিখনি পেতে আমরা আছি আপনার সাথে। কবি তন্ময় সাহা রচনা সমগ্র দেখুন এবং পড়ুন।

ভালো থাকা সুখ

ভুলে গেলে তুই আবার শুরু ধ্যাত্তেরিদের গল্প, গালগল্পের সূচনালগ্নে মিথ্যে মিথ্যে কল্প। মন থেকে বল ভাল্লাগে না আমার কথকথা! মিথ্যে কেবল থাকিস ভুলে ভালোলাগা কতো কথা। এর নাম তুই জীবন বলিস, এর নাম নাকি বাঁচা! বাচালতা ঘটে তালা অঁাটা মুখে, অবিরাম অলসতা। চেপে চেপে রাখ চোখ বঁুজে থাক, আমায় ডাকিস না, বন্দি দুপরে চার দেয়ালে বন্দি থাকিস না। মুখ ফুটে…

আমাদের পৃথিবীর অ্যাটলাস

আমাদের ছাপোষা পিতা; কেরানি ছিলেন, অথচ তার বুকের ভেতর কী অতল জীবনের বাস! আমাদের পিতা, আমাদের পৃথিবীর অ্যাটলাস। বসতেন, অফিসের নিচুতলার চেয়ারগুলোর একটাতে। হোমরা—চোমরা বাবু সাহেবেরা কখনো তাকে তুইতোকারি করেছেন বলে শুনিনি! কিন্তু মন খারাপের কারণ যায়নি জানা, অনেকবার। পিতার সুনিপুণ শিল্পকর্ম দেখেছি। পিতার গতিময় হাতে ভালোবাসার টাইপ—রাইটারÑ চেয়ে থাকতাম বিমুগ্ধ নয়নে, রাজ্যের বিস্ময়ে। শব্দটা অর্কেস্ট্রার মতো, হৃদয়ে গেঁথে আছে…

সকলের-ই মা থাকুক

নতুন কোনো বনলতা, চাই না আমার। নতুন কোনো হেলেনের জন্য, কখনোই ব্যাগ্র নই । হাজার বছরের পথ হাঁটা সীমাহীন ক্লান্তি আমার, যতোই আসুক ধেয়ে, আমি পথচলি ক্লান্তিহীন। আমি যে স্নান করে এসেছি মায়ের স্নেহে, আমি যে সিক্ত বনলতা তোমার ভালোবাসায়। জীবনের পথ ফুরালো বলেই, এইবেলা লুটে নাও সুখ! পেট ফোলা জোঁক হয়ে, রক্ত লোলুপ! আফ্রোদিতি, কারো লালাভ রক্ত রতন, উপহারে…

শামুকের ছায়া

ক’টা কমা: আমি নাকি দিতে ভুলে গেছি; তুমি জানতে, ‘লাইন থাকলেই কমা, সেমিকোলন, দাঁড়ি–ওগুলোও থাকে’! কোথাও একটু বসে জিড়িয়ে নিলে-ই কি হতো; এও নাকি বলে দিতে হয়! কিছুই কি থেমে যায় কোনোভাবে–ভুলে গেলে, ‘সমান্তরাল লাইনগুলো মেশে না কোথাও!’ পারলে একবার দিনশেষের ভালোবাসাকে থামিয়ে রেখো! শামুকের জীবনকে বেছে নেবার আগে স্বস্তির বাড়ানো হাত হয়তোবা পেয়ে যেতে পারো: গ্রীষ্মের তপ্ত রোদ, তুমি…

শামুকের ছায়া

ক’টা কমা: আমি নাকি দিতে ভুলে গেছি; তুমি জানতে লাইন থাকলেই কমা, সেমিকোলন, দাঁড়ি–ওগুলোও থাকে! কোথাও একটু বসে জিড়িয়ে নিলে-ই কি হতো; এও নাকি বলে দিতে হয়! কিছুই কি থেমে যায় কোনোভাবে–ভুলে গেলে, সমান্তরাল লাইনগুলো মেশে না কোথাও! পারলে একবার দিনশেষের ভালোবাসাকে থামিয়ে রেখো! শামুকের জীবনকে বেছে নেবার আগে স্বস্তির বাড়ানো হাত হয়তোবা পেয়ে যেতে পারো: গ্রীষ্মের তপ্ত রোদ, তুমি…

রোষ্ট

নিরপেক্ষ হাতেরা সুস্বাদু খাবার খোঁজেন।বালিহাঁস জড়িয়ে ছিলো, জালে–দুঃসংবাদ… আকাশে ফেরাতে বালিহাঁস;হাতগুলি নিখোঁজ, রক্তবর্ণ ও পাংশু হলো! সুসংবাদ… যারা যারা দর্শক–নীতি নিরপেক্ষ,তাদের কেউই; হাততালি দেননি,যদিও হাতগুলি তাদের পকেটেই রাখা ছিলো!নিরপেক্ষ হাতেরা নিরাপদ পকেট খোঁজেন। আদোতেই ব্যাধ এবং… নিপাট ভদ্রলোকেরানিরীহ ও নিরপেক্ষ হয়ে থাকেন!আদোতেই ব্যাধ এবং…নিপাট ভদ্রলোকেরা প্রীতি নিরপেক্ষই ছিলেন–শুধু তাদের পরস্পরের হাতে ছিলো, প্রিয় প্রিয়হাতগুলি এবংসুস্বাদু বালিহাঁস রোষ্টিং পার্টির, প্রথম সারিতেই–তারা…

নেমন্তন্ন

জমিদার কত্তার পুতের বে’, নেমন্তন্ন গো দাদা, নেমন্তন্ন।প্রেজারা মেলা খুশী, বে’ বলে কতা।আমি কি আর না যায়ে পারি গো দাদা, না যায়ে পারি ?কত্তার পুত; ছোট কত্তা বলে কতা।হাটের মইধ্যে ঢেড়া পিটায়ে নেমন্তন্ন,কি তার বাহার। কি তার চটক, বাবা গো বাবা!আমি কি আর না যায়ে পারি!বাপের সাথে পুতেরও তো যাওয়া লাগে, নাকি, কও?পেন্নাম অন্নদাতা? ছাওয়াল আমার মনিব চেনবে না,কি করে…

অন্য আঁধার

ও কিছু নয়! বলেছিলে আজ নয় কাল দেবো।কথা ছিলো বারান্দায় একতোড়া গোলাপ থাকার;জাদুঘরে শুকনো গোলাপ; তার আগে এই আমি,মিশরীয় মমি হয়ে গেছি!আমি কি এখনো যাবো; কালের বারান্দায় ? কথা ছিলো শোক পেলে পাথর হবার,এখন মমির বুক পাথর সমান,এখন মমির শোক সাগর সমান,কফিনে পেরেক ঠোকা। সত্যি কিছিলো কোনো শোক, কড়াল মৃত্যুর মতো? তবে কি বিদায় দেবে, কালের জঞ্জাল ভেবে,তবে কি বারান্দায়,…

প্রাপ্ত বয়স্কের দখলে

কিভাবে ছুঁয়েছে বলো?কে কিভাবে ছুঁতে চাও?বলো, কে কিভাবে ছুঁয়েছো আঁধার? সেই এক নাকিসুর কেন বারবার?ছুৎ-মার্গে নাকি; ভূ-স্বর্গে আরজাত যায় না! ছুঁলে অন্য কেউগা ঘিন-ঘিন; করে না আগের মতো!ক্রেতার দখলে পিঠ-পেট, জন-জাতি,দেহ-মনে অন্ধ ক্ষত। অন্ধকারআজ যার জলভাত, তাকেআজ ছোঁয়া যেতে পারে; যেভাবে খুশি!যার খুশি ছোও যতো! যেমন খুশি ছোঁও! যেমন খুশি ছোঁবে?যেমন যেমন খুশি তেমন তেমন; ছোঁও!ছোঁও শব আয়েশি মোহোৎসবে! রথী,…

1 23 24 25
error: Content is protected !!